May 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, February 7th, 2024, 8:05 pm

বেঞ্চের ফুটবলারদের সঙ্গেও ভুটানের হার

অনলাইন ডেস্ক :

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও সেই বাংলাদেশ-ভারত ফাইনালে। আজ বৃহস্পতিবার ফাইনাল, কমলাপুর স্টেডিয়ামে। ভুটানের বিপক্ষে হারানোর কিছু ছিল না বাংলাদেশের। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু কাল ভুটানের বিপক্ষে সাইড বেঞ্চে থেকে ৯ জন ফুটবলার নামিয়ে দিয়েছেন, যাদের অনেকেরই অভিষেক হয়েছে কাল। বিশ্রামে ছিলেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি, জয়নব বিবি, সুরমা জান্নাত, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রাণী, ৩ গোল করা সাগরিকা, পূজা, ইতি। ৯ জন নেই, তাতেই ভুটান কুপোকাত।

ভুটান আসরটিতে তাদের ৩ ম্যাচের সবকয়টি হারল। গত মঙ্গলবার নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৪-০ গোলে হেরে সাফ শেষ করল তারা। এর আগে ভারতের কাছে ১০-০, নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল। ভুটানের ফুটবলাররা বেশ শক্তিশালী, সুঠাম দেহ, কিন্তু স্কিল কম। ম্যাচের তৃষ্ণা রানী বক্সের ভেতরে বল রিসিভ করতে গিয়ে গোল হয়ে গেল। এই হলো ভুটানের রক্ষণভাগ এবং গোলরক্ষক। প্রধমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। নুসরাত জাহান মিতু এবং ঐশী গোল করেন। সেই দুটি গোলও যে খুব কঠিন চেষ্টায় হয়েছিল তাও না। গোলের কৃতিত্ব যতটুকু তার চেয়ে ভুটানের দুর্বলতা বেশিই ছিল। ম্যাচের চতুর্থ গোলটিও গোলরক্ষক এবং রক্ষণভাগের ভুল বুঝাবুঝিতে বল বেরিয়ে গেলে আবার সেই ঐশী গোল করেন, ৪-০। ঐশী দুই গোল করেছেন, গোল করিয়েছেন দুটি। ম্যাচ জেতার আনন্দে মেতে উঠলেন স্বর্ণা, রুমা, ঐশী, নুসরাত জাহান মিতু, নাদিয়া, তৃষ্ণা রানী, কানন রানী, লুৎফরা আক্তার, উমেহ্লা, রিতু, সুলতানা, রিতুরা।

ভারত ৪ গোলে জয়ী

ফাইনালে কাকে পাবে সেই অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। লড়াইয়ে ছিল ভারত ও নেপাল। ড্র হলেই ভারত ফাইনালে, নেপালকে জিততেই হবে। এই সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে ভারত ৪-০ গোলে নেপালকে উড়িয়ে দিয়েছে। চার দেশের সাফ। নেপাল প্রথম খেলায় বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে হেরে দ্বিতীয় খেলায় ভুটানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল। নেপালকে হারিয়ে ভারতের নারী কোচ শুক্লা দত্ত জানালেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে হবে। স্কোর করতে হবে। আমরা হ্যাপি।’ ম্যাচের প্রথমার্ধে যতটা ভালো খেলেছে, দ্বিতীয়ার্ধে দলটার গতি কমে গিয়েছিল। শুক্লা দত্ত বললেন, ‘একটা ম্যাচের পর ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম দরকার। সেটা তো হচ্ছে না। ক্লান্তি আসবেই।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে ১-০ গোলে হারের কথা মনে করিয়ে দিলে শুক্লা দত্ত বললেন,‘কে কী খেলেছে, কে কবে জিতেছে সেটা ম্যাটার করে না। এখন কী করব সেটাই বলুন। বাংলাদেশ ভালো, আমি পজিটিভ দেখছি।’