নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে, তারপর দফায় দফায় বাড়তে থাকে। ঈদের পরে গত ছয়দিনে পাইকারি বাজারে খোলা ভোজ্যতেলের দাম বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে সয়াবিনের দাম প্রতি মণে (৪০ দশমিক ৯০ লিটার) ৪০০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া পাম ও সুপার পাম তেলের দাম ১০০ টাকা বেড়েছে।
এ অবস্থায় রাজধানীর মৌলভীবাজারে পাইকারিতে প্রতিমণ সয়াবিনের দাম উঠেছে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। যা ঈদের আগে বিক্রি হতো ৪ হাজার ৪০০ টাকায়। এছাড়া পাম ও সুপার পাম তেলের দাম প্রতিমণে ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৪ হাজার ৩০০ টাকা ও সুপার ৪ হাজার ৪৯০ টাকা। সে হিসেবে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের পাইকারি দাম হয়েছে ১১৭ টাকা।
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার কারণে তেলের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষ হতেই তেলের দাম হুহু করে বাড়ছে। বাজারে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির যেমন- টিকে, এস আলম, সিটি, মেঘনা ও বসুন্ধরা গ্রুপের সবধরনের বাল্ক তেলের দাম বেড়েছে।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা নিম্নমুখী হলেও চলতি মাসে আবারও বাড়তে শুরু করেছে পাম অয়েলসহ সব ভোজ্যতেলের দাম। এ সময় বোতলজাত তেলের দাম বেড়েছে দফায় দফায়।
এদিকে বর্তমানে মালয়েশিয়াতে প্রতিটন পাম অয়েলের বুকিং দর ৪৪০০ রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিত = ২২ টাকা)। যা গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৩৭০০-৩৮০০ রিঙ্গিত এবং মাসের শেষ দিকে ৪১০০ রিঙ্গিতে বুকিং হয়েছে। সেই হিসেবে, গেল দুই-তিন সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটন পাম অয়েলের দাম প্রায় ৩০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত বেড়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম
সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অটোমেটেড সরকারি আর্থিক সেবা