পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার এবং চলমান একাধিক ও আন্তঃসংযুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উত্তরণের জন্য একটি সু-সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের একজন সদস্য হিসাবে, সংকটের মাত্রা ও মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া চার্ট করতে অন্যান্য বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এসডিজি শীর্ষক উচ্চ-স্তরের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ) ২০২২-এর এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো বহুবিধ দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের প্রভাব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এই সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় দৃঢ় সহনশীলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে সরকার ২২ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে প্রসারিত করা হয়েছিল। তাছাড়া আমরা ভ্যাকসিনের জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সমাজ, জাতীয় ডেটা ভান্ডার সিস্টেম, এসডিজি ট্র্যাকার ও স্থানীয়করণের প্রচেষ্টা এসডিজি বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার পথ তৈরি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সংহতি ও অংশীদারিত্বের উচ্চ গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
প্রতিমন্ত্রী টেকসই, স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের নেতৃস্থানীয় সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, পাশাপাশি বহুপাক্ষিক দাতা এবং বেসরকারি খাতকে জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থনের পাশাপাশি, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও পিছিয়ে পরা দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র