অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকের লকারে রাখা দুই লাখ ১৫ হাজার রুপি সাবার করলো উইপোকা। কষ্ট করে গচ্ছিত রাখা অর্থ এভাবে নষ্ট হওয়ায় গ্রাহকদের মাথায় হাত পড়েছে। ব্যাংকের লকার থেকে এভাবে টাকা নষ্ট হয়ে যাবে বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে তাদের। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের একটি ব্যাংকে এমন ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ওই শাখায় পেস্ট কন্ট্রোলের কোনো ব্যবস্থা নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুনীতা মেহতা নামের এক গ্রাহকের অভিযোগ, রাজস্থানের উদয়পুরের ওই ব্যাংকে তার লকার ছিল। সেখানেই নিজের কষ্টার্জিত ২ লাখ ১৫ হাজার রুপি জমিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি ওই লকার খুলতে গিয়ে হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি দেখতে পান অসংখ্য উইপোকা লকারের ভেতরে বাসা বেঁধেছে। টাকার ওপরে উইপোকা কিলবিল করছে। বান্ডিলগুলিও আর আগের অবস্থায় নেই। সেগুলো কেটেকুটে এমন অবস্থা হয়েছে যে আর ব্যবহারই করা যাবে না। নিজের কষ্টের টাকার এই হাল দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গ্রাহক। ব্যাংকের অন্যান্য গ্রাহকরাও বিপাকে পড়েছেন। জানা গেছে, ব্যাংকের আরও ২০ থেকে ২৫টি লকারে হানা দিয়েছে উইপোকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকরা বলছেন, লকারে যা রাখা হচ্ছে সেটা সুরক্ষিত রাখাটাই ব্যাংকেরই দায়িত্ব। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি। তাছাড়া ব্যাংকে পেস্ট কন্ট্রোলেরও কোনো ব্যবস্থাও নেই। এমনিতে লকারে কোনো গ্রাহক টাকা রাখলে তার দায়িত্ব গ্রাহককেই নিতে হয়। কত টাকা রাখা হল সেটাও দেখে না ব্যাংক। লকার সুরক্ষিত রাখা ছাড়া আর কোনো কাজ থাকে না ব্যাংকের। তবে এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কথা মানবিকভাবে ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ম্যানেজার। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো ঘটনা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন কিনা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২