অনলাইন ডেস্ক :
চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। মূলত তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যসায়ী। বাংলাদেশ সরকারের সিআইপি হলেও তার দাবি, ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকাও নেই। শনিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমার একাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকা আছে কিনা আমি জানিনা। আমি কখনও টাকা সেভিংস করি না। যত টাকা ইনকাম করেছি, সেটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি বাড়িয়েছি। আমার ভাই যখন কোম্পানি শুরু করে তখন মাত্র ২০০ লোক কাজ করতো। আমি যখন কোম্পানিতে আসি, তখন ৪০০ লোক কাজ করতো। আর এখন সাড়ে ১২ হাজার লোক কাজ করে। ৬৪ বিঘার ওপর ফ্যাক্টরি। যতটুকু ইনকাম করি সেটা ইনভেস্ট করি আর মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাই। মরার পর ব্যাংক-ব্যালেন্স কারও সঙ্গে যাবে না। দেশের প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী হয়েও অনন্ত জলিলের সন্তানদের জন্য কোনো ডিপোজিট নেই বলেই জানালেন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারও আরিজ-আবরারের (অনন্ত জলিলের দুই ছেলে) জন্য ২-১টা ডিপোজিট করতে বলে। আমি তাদের একটাই কথা বলি, আমার বাবা আমার জন্য ডিপোজিট করেনি। আমার প্রতি ইনভেস্ট করেছে, আমাকে এডুকেটেড করেছে। আমাকে কেন আমার সন্তানদের জন্য ডিপোজিট করে যেতে হবে। তাদের তো ভাড়া বাসায় থাকতে হবে না। নিজেদের বাড়ি আছে। ওরা নিজেরা কিছু করতে না পারলে আমি দায়ী না। তাদের পড়াশোনা করানো পর্যন্ত আমার ডিউটি।’ ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ও প্রযোজিত ছবি ‘দিন দ্য ডে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। বাজেটের কারণে বেশ আগে থেকেই আলোচনায় ছবিটি। মুক্তির পর সেই আলোচনা জমে উঠে আরও। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। সিনেমায় ১০০ কোটি টাকা বাজেটের বিষয়টি ক্লিয়ার করেন তিনি। অনন্ত জানান, বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নি করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক।
আরও পড়ুন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল
প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন দীঘি
১০০ প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘ডেডবডি’