ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানেবাড়ি গোষ্ঠি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠি একটি পক্ষে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠি আরেকটি পক্ষ।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া।
এই দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মেম্বারের পক্ষের দোলা গোষ্ঠির বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত ও তার ছেলেকে মারধর করে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের খানে বাড়ি ও সিরাজ আলীর গোষ্ঠির লোকজন।
বিষয়টি রাতেই স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সোমবার সকালে সদর থানায় মিমাংসা করার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালে এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়।
আহতদের মধ্যে- হারিছ মিয়া, বাবু, শাকিব, ফিরোজ মিয়া, সোহাগ মিয়া, হানিফ মিয়া, বিল্লাল মিয়া, রোজিনা আক্তার, সিরাজ মিয়া ও নোয়াব মিয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
বাকিরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সোহেল আহমেদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি