April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, April 22nd, 2022, 8:40 pm

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌতুক দাবির ঘটনায় এএসআই হুমায়ূন এখন জেলে

জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় হুমায়ূন কবির নামের পুলিশের এক সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) কে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এএসআই হুমায়ূন কবির হাজির হলে উক্ত আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আরেফিন আহমেদ হ্যাপি তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন| এএসআই হুমায়ূন কবির কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে, বর্তমানে তিনি লক্ষীপুর জেলা পুলিশের হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রের সহকারি উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।

আদালতে মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১সালের ১৫ মে হুমায়ূন কবির কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারের মো: তারু মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন, তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে, গত ৭/৮ মাস পূর্ব থেকে এএসআই হুমায়ূন কবির তার পদোন্নতির জন্যে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। যদি টাকা না দেয়, তাহলে আরেকটি বিয়ে করবেন বলে জানান।
গত ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর তাদের মেয়ে হুমায়ূন কবিরের মোবাইল ফোনে গেইমস খেলছিল, এসময় সে মোবাইল ফোনে তার বাবা হুমায়ূন কবিরের সাথে অন্য এক মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি দেখে মা খাদিজা আক্তারকে দেখায়, এ বিষয়ে খাদিজা তার স্বামী এএসআই হুমায়ূন কবিরকে জিজ্ঞাস করলে সে জানায়, তোমার বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে না দিলে মোবাইল ফোনের ছবির মেয়েটিকে বিয়ে করবে, এ বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়, এরপর থেকে হুমায়ুন ফোন রিসিভ করেনা।
অবস্থার বেগতিক দেখে খাদিজা আক্তার বিষয়টি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেল অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলেন, সেখান থেকে দুইজনকে মিলিয়ে দেওয়া হয়,
গত ৪ মার্চ হুমায়ূনের স্ত্রী খাদিজার মা জেলা শহরের মেড্ডা এলাকায় তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন, এবং হুমায়ুনের কথামতো মামা শ্বশুড় ওয়ালিউল্লাহ ও বড় ভাই কাওসারের সামনে শাশুড়ীর কাছে নিজের পদোন্নতির জন্য পুনরায় ১০ লাখ টাকা দাবি করেন, তাহারা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষোভে এএসআই হুমায়ূন তার স্ত্রী খাদিজার সাথে সংসার করবে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে আর যোগাযোগ রাখেনি।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, গত ১১ এপ্রিল খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে যৌতুক দাবির ঘটনায় এএসআই হুমায়ূনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করলে, আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হাজির হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।