অনলাইন ডেস্ক :
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন আজ। এ লক্ষ্যে বর্ণিল আলোয় সেজেছে বিভিন্ন দেশ। ঐতিহ্যবাসী বিভিন্ন স্থাপনা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। ওমিক্রন ঝুঁকির মধ্যেও এতটুকুও ভাঁটা পড়েনি আয়োজনে। বড়দিন উপলক্ষে বিশ্বের নানা প্রান্তের আয়োজন নিয়ে থাকছে এবারের প্রতিবেদন। সান্তা ক্লজকে ছাড়া আবার বড়দিন আসে নাকি? তবে এবার শুধু ভূমিতেই না, সান্তার দেখা মিলছে পানির নিচেও। একটি অ্যাকুরিয়ামে সান্তা ক্লজ সেজে পানিতে নেমেছেন ডুবুরিরা। আর মোটা কাচে আবদ্ধ অ্যাকুরিয়ামের বাইরে দর্শনার্থীদের উপচপড়া ভিড়। বড়দিন উপলক্ষে ফ্রান্সের প্যারিসে এমনই ব্যতিক্রমী আয়োজন উপভোগ করছেন আগতরা। উটের পিঠে চড়ে সান্তা ক্লজ সেজে জানান দিচ্ছেন এসে গেছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘বড়দিন’। এমন চিত্রের দেখা মিলছে জেরুজালেমে। উৎসবের কমতি নেই চেক প্রজাতন্ত্রেও। ভায়োলিন বাজিয়ে সুরের মূর্ছনায় মেতে উঠেছেন নানা বয়সী মানুষ। শহরের রাস্তায় নাচ-গানের আয়োজনে ব্যস্ত সব বয়সীরাই এসেছেন বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে। স্থানীয় নাগরিকরা বলেন, আমার মনে হয়, এটি সবার জন্যই অত্যন্ত আনন্দদায়ক। আমরা এখানে বাচ্চাদের আনন্দ দেখে অনেক বেশি খুশি। অনেকদিন পর সবাই একসাথে হয়ে ভালো লাগছে। আপনি হাসপাতালে বলে বড়দিন উপভোগ করবেন না তা হয় নাকি? তাই বড়দিন উপলক্ষে ইতালির হাসপাতাল ভবনগুলোতে সান্তা সেজে শিশুদের আনন্দ দিতে ব্যস্ত একদল যুবক। মেক্সিকোতেও আয়োজন করা হয়েছে নানা উৎসবের। হরেক রকমের আলোক সজ্জা, রং-বেরংয়ের বল, ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ কি নেই। এ ছাড়া হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে হচ্ছে বিশেষ খাবার ও পার্টির আয়োজন। যীশুর জন্মদিন, তাই উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই ছোট্ট শিশুদেরও। ব্রাজিলে ক্রিসমাস ট্রি আর রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো পুরো একটা জাহাজ দেখতে ভিড় করছে তারা। করোনায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত পুরো বিশ্ব। তার পরও এতোটুকুও কমতি নেই উৎসব আয়োজনে। ২৫ ডিসেম্বরকে আনন্দময় করে তুলতে নানা রংয়ে সাজানো হচ্ছে গির্জা। প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বিশেষ প্রার্থনার। সবার প্রত্যাশা একটাই নতুন বছরে অন্ধকার দূর হয়ে সুখ-সমৃদ্ধি আর আনন্দে ভরে উঠবে পৃথিবী।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২