অনলাইন ডেস্ক :
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির মাধ্যমে ওয়ানডেতে ৪৯তম শতকের দেখা পেয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট আইকন বিরাট কোহলি। এর মাধ্যমে তিনি আরেক ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের সর্বকালের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। কিন্তু এখনো কোহলির ভারতকে দেবার অনেক কিছুই আছে, যে কারণে সতীর্থ ক্রিকেটারদের যেকোন রেকর্ড এখন কোহলির যাদুর কাছে হুমকির মুখে পড়েছে। ২৭৭ ইনিংসে কোহলি তার ৩৫তম জন্মদিনে টেন্ডুলকারের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন।
কলকাতায় অনন্য এই রেকর্ডের পর টেন্ডুলকার কোহলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কোহলির জীবনীকার বিজয় লোকাপাল্লি বার্তা সংস্থা এএপিকে বলেছেন, ‘বিরাট কখনই রেকর্ডের জন্য খেলেনা। সে যত এগিয়েছে রেকর্ডগুলো এমনিতেই হয়েছে। তার ব্যাটিং প্রতিভা ও পরিশ্রমের ফসল মিলে একটি যাদু সৃষ্টি করে। স্থায়ীত্ব একেকটি মাইলফলকের জন্ম দেয়। সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব, শচীন টেন্ডুলকারদের মত কিংবদন্তীদের কাছ থেকে এটা বিরাট উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।’ টেন্ডুলকারের খেলা দেখে ক্রিকেট পাগল ভারতীয়রা যেমন উন্মাদনায় মেতে উঠত ঠিক একইরকম অনুভূতি তারা কোহলির কাছ থেকেও পাচ্ছে।
ভারতীয় ক্রিকেট মাঠে কোহলির ১৮ নম্বর জার্সি এখন সর্বত্র চোখে পড়ে। ২৬ হাজারেরও বেশী আন্তর্জাতিক রান, তিন ফর্মেটে ৭৯টি সেঞ্চুরি কোহলিকে ইতোমধ্যেই টেন্ডুলকারের সাথে তুলনার পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যদিও লোকপাল্লি বিষয়টিতে দ্বিমত পোষন করেছেন, ‘বিরাট সবসময়ই তুলনা অপছন্দ করেন। তার নিজের একটি স্বত্তা রয়েছে। টেন্ডুলকারের ভিন্ন, তাদের খেলার স্টাইলও ভিন্ন। শচীন অনেক ভয়ঙ্কর বল মোকাবেলা করেছে। বিরাটও সেসব বল ভালমতই প্রতিরোধ করেছে। শচীনের কোন তুলনা হয়নি। বিরাট আজ যদি ক্রিকেট উপভোগ করে থাকে তবে তা টেন্ডুলকারের কারণে ভারতীয় ক্রিকেটের খ্যাতির সৌজন্যে।’ সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান মোহাম্মত কাইফ বলেছেন, ‘যখন বিরাট ১০০ করতে চায়, সে সেটা করে দেখায়। ওয়ানডেতে তার ইনিংস দেখতে পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের।’
২০১৩ সালে সর্বশেষ বড় শিরোপা হিসেবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। এর আগে মাহেন্দ্র সিং ধোনীর অধীনে ২০১১ সালে সর্বশেস বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। ১২ বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ী ঐ দলের সদস্য ছিলেন কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কোহলি বলেছেন, ‘দুই বছর আগে আমরা মাত্র দুজন খেলেছি। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার অনুভূতি ভিন্ন। নিজেদের পরিচিত পরিবেশে পরিচিত মানুষদের সামনে আমরা আরো একবার ভাল কিছু করেত দেখাতে চাই।’ টেন্ডুলকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কোহলি বলেছেন, ‘আমার নায়কের সাথে রেকর্ড ভাগাভাগি করতে পারাটা বিশাল সৌভাগ্যের। ব্যাট হাতে সে এতটাই নিখুঁত ছিল যা কল্পনাও করা যায়না। এটা সত্যিই আবেগময় একটি মুহূর্ত।’ ২০২১ সালে টি২০ ফর্মেটে অধিনায়কের পদ থেকে কোহলি সড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপরপরই ওয়ানডে অধিনায়ক থেকে তাকে সড়িয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা