March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, November 3rd, 2022, 7:24 pm

ভারতের ফেক ফিল্ডিংয়ের বিষয়টি ফোরামে তুলে ধরবে বিসিবি

অনলাইন ডেস্ক :

গত বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে ভারতের ফেক ফিল্ডিং নিয়ে যথাযথ ফোরামে কথা বলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। জয়ের অবস্থায় থাকা সত্বেও উভয় দলের কাছেই মহাগুরুত্বপুর্ন এ বাংলাদেশ পাঁচ রানে ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশের দাবী ভারতের বিরাট কোহলি ‘ফেক ফিল্ডিং’ করেছেন। যা দুই অনফিল্ড আম্পায়ার- মারইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউন সেদিকে খেয়াল করেননি। অবশ্য বিষয়টি কেবলমাত্র বাংলাদেশের দাবী তা-ই নয়, বিশ^ ক্রিকেটের অনেক রথী-মহারথীই সমালেচনা করেছেন। এমনকি বিশ^ গণমাধ্যমেও এসেছে। ইউনুস বলেন, ‘আপনারা সবাই টেলিভিশনে ঘটনাটি দেখেছেন। দু’টি ঘটনা হয়েছে এবং একটি ফেক ফিল্ডিং ছিলো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আম্পায়ারের কাছে ফেক ফিল্ডিংয়ের কথাটি বলেছি, কিন্তু তারা বলছে এটি লক্ষ্য করেনি। এজন্য ঘটনাটি তারা পর্যালোচনা করেনি। খেলার মাঝামাঝি সময়ে আম্পায়ারদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন সাকিব। এটি কোন স্কুল নয়, আপনি সবকিছু সম্পর্কে অভিযোগ করবেন। আমরা এখনও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি এবং যথাযথ ফোরামে এটি তুলে ধরার চেষ্টা করবো।’ নিয়ম অনুসারে এ ঘটনায় পেনাল্টি হিসেবে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রান পেতে পারতো বাংলাদেশ। ঘটনাটি ঘটেছে অ্যাডিলেড ওভালে বাংলাদেশ ইনিংসের সপ্তম ওভারে। যখন অক্ষর প্যাটেলের বলে ডিপ অফ-সাইড শট খেলেন ব্যাটার লিটন দাস। ফিল্ডার অর্শদ্বীপ সিংয়ের কাছ থেকে কোহলি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বল ছুঁড়ে মারার ভঙ্গি করেন। ঘটনার ভিডিওটি পরে ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ ভিডিও নিয়ে দুই দেশের ভক্তদের মধ্যে তর্ক-বির্তকের জন্ম দিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে ম্যাচের পর কথা বলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই দেখেছি, এটি ভেজা মাঠ ছিলো। এ ছাড়া সেখানে একটি ফেক ফিল্ডিংও ছিল। পাঁচ রানের পেনাল্টি হতে পারতো। এটিও আমাদের পক্ষে আসতে পারতো কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি।’ আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুসারে, ‘ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি বা ব্যাটারের মনোযোগে বাধা দিলে এবং যদি কোন ঘটনা লঙ্ঘন করে বলে মনে করা হয়, তাহলে আম্পায়াররা এ ডেলিভারিটিকে ডেড বল হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন এবং বোনাস হিসেবে ব্যাটিং দলকে পাঁচ রান পাবেন।’ আরেকটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় ছিল ভেজা আউটফিল্ড, যা নিয়ে আম্পায়ারদের সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিব চেয়েছিলেন ভালোভাবে মাঠটি শুকানোর পর খেলা শুরু করা হোক। ‘একই সাথে ভেজা আউটফিল্ড নিয়েও কথাও বলেছেন সাকিব। আম্পায়ারদেরকে মাঠ শুকানোর জন্য সময় দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তারা বলেছিলো, ম্যাচ রেফারি এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাই এটি নিয়ে বিতর্কের কিছু ছিল না। তাদের ভাষ্য ছিল আপনি খেলবেন, নাকি খেলবেন না।’