March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, January 12th, 2022, 8:31 pm

ভারতে এক দিনে কোভিড রোগী বাড়ল ১ লাখ ৯৪ হাজার

অনলাইন ডেস্ক :

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটের মধ্যে ভারতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছ। গত মঙ্গলবার মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭২০ জন নতুন কোভিড রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্য দিয়ে মহামারীর পুরো সময়ে ভারতে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়ে গেল। গত এক দিনে আরও ৪৪২ জনের মৃত্যু হওয়ায় কোভিডে মৃত্যুর মোট সংখ্যা পৌঁছালো ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৫ জনে। টানা কয়েক দিন বাড়ার পর সোমবার দৈনিক শনাক্ত রোগী সামান্য কমেছিল আগের দিনের তুলনায়। এক দিনের মাথায় তা আবার বেড়ে গেল। এনডিটিভি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আগের দিন ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ ছিল। দেশটির ২৯টি রাজ্যের মধ্যে ১২০টি জেলায় শনাক্ত রোগীর সাপ্তাহিক হার ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। ভারতে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে যাদের নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাদের ৪ হাজার ৮৬৮ জনের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে কেবল মহারাষ্ট্রেই পাওয়া গেছে ১ হাজার ২৮১ ওমিক্রনের রোগী, রাজস্থানে শনাক্ত হয়েছে ৬৪৫ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৯ জন। তবে হাসপাতালে ভর্তির হার এখনও তুলনামূলকভাবে কম। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সক্রিয় কোভিড রোগীদের ৫ থেকে ১০ শতাংশকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের মধ্যে গতবছর মার্চ-মে মাসে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের ২০ থেকে ২৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ভারতে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে যাদের কোমরবিডিটি আছে এবং যারা মহামারী নিয়ন্ত্রণে সামনের সারিতে কাজ করছেন, তাদের এ সপ্তাহেই কোভিড টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডাজ দেওয়া শুরু করেছে দেশটির সরকার। তবে দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়াররপারসন ড. জয়প্রকাশ মৌলিল বলছেন, এখন করোনাভাইরাসের যে ধরনটির বিস্তার ঘটছে, সেই ওমিক্রন এক কথায় অপ্রতিরোধ্য। শেষ পর্যন্ত হয়ত প্রায় সবাইকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে, টিকার হয়ত সুরক্ষা দিতে পারবে না। অবশ্য তাতে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু দেখছেন না ভারতের এই শীর্ষ এপিডেমিওলজিস্ট; তার মতে, ওমিক্রন এখন সাধারণ সর্দি-জ¦রের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। সংক্রমণ বাড়লেও ততটা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।