অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (২৩ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মারা গেছেন আরও প্রায় ৩ হাজার ৭৮৮ জন মানুষ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৭ জন। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৯৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৪৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ৩৪ লাখ ১৮ হাজার ৫২৩ জন।
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় খানিকটা কমলেও শঙ্কা এখনও কাটেনি। দেশটিতে সংক্রমণ অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ায় টিকা কর্মসূচিতেও এর প্রভাব পড়ছে।
গত কয়েক দিন করোনায় গড়ে চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু দেখেছে ভারত। শনাক্তের টালিও কিছুটা নিচের দিকে এখন। তবে হাসপাতালগুলোতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা এখনো কাটেনি। অক্সিজেনের পাশাপাশি টিকার সংকটও এখন চরমে।
টিকার জন্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ানো এক ব্যক্তি বলেন, টিকাকেন্দ্রে গিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে কোনো টিকা নেই, আবার অন্য কোনো কেন্দ্রে গিয়ে চেষ্টা করে দেখতে হবে।
দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। এমনই এক নারী বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে এসে দেখলাম কেন্দ্রই বন্ধ। কবে খুলবে আর কবে টিকা পাব তাও জানি না।
টিকা সংকটে একদিকে দেশটিতে যেমন টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত কোভ্যাক্স ভারতকে যে সংখ্যক টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা নিয়েও শুরু হয়েছে জটিলতা।
এদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে শিশুরাও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভ্যাকসিন সঠিকভাবে মজুতের ব্যাপারেও কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।
সংকটের মধ্যেই যাতে মানুষ ঘরে বসে টিকা নিতে পারে এমন একটি অ্যাপের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মেডিকেল কাউন্সিল। শিগগিরই এটি চালু করা হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু