November 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, April 17th, 2022, 9:07 pm

ভারতে করোনায় মৃত্যু ৪০ লাখ বলছে ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক :

ভারত সরকারের হিসাবে, দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় পাঁচ লাখ ২০ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এমনটি হলে করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর দেশ হবে ভারত। ডব্লিউএইচও’র প্রকাশিতব্য একটি প্রতিবেদনের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এমনটি বলেছে। তবে ভারত সরকার বলছে, দেশে কোভিড-১৯ মৃত্যুর হার অনুমান করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এত বড় ভৌগলিক আকার এবং জনসংখ্যার একটি দেশের জন্য মৃত্যুর সংখ্যা অনুমান করার জন্য এই ধরনের গাণিতিক মডেল ব্যবহার করা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, কোভিড মহামারিতে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ দেড় কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। শুরুর দিকের ধারণার চেয়ে এ সংখ্যা অনেক বেশি। তবে, সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটি প্রকাশ করেনি সংস্থাটি। বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যুর হিসাব রাখতে ডব্লিউএইচও যে উচ্চাভিলাসী উদ্যোগ চালু করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেখা যাচ্ছে, এ হিসাবের চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পৃথিবীর দেশগুলোর সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত হালনাগাদ করা ডব্লিউএইচও’র বর্তমান হিসাব বলছেÑবিশ্বব্যাপী করোনায় গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত ৬১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ ডব্লিউএইচও’র সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদই এ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় কোটি। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, বাড়তি প্রায় ৯০ লাখের এক তৃতীয়াংশ ভারতের। তবে, অন্য দেশের তথ্য পায়নি পত্রিকাটি। ভারত সরকার অবশ্য ডব্লিউএইচও’র গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কম জনগোষ্ঠীর দেশে ব্যবহার করা গবেষণা পদ্ধতি বিপুল জনসংখ্যার দেশ ভারতে ব্যবহার করা যাবে না।’ হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের মূল আপত্তি ফলাফল নিয়ে নয়, গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে। ইতোমধ্যে ভারত ডব্লিউএইচও-কে ছয়টি চিঠিসহ বেশ কয়েকটি আনুষ্ঠানিক বার্তার মাধ্যমে অন্যান্য সদস্য দেশগুলির সাথে এই পদ্ধতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।