November 23, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, July 14th, 2023, 8:47 pm

ভারতে বন্যায় প্লাবিত রাস্তাঘাট, নিহত শতাধিক

অনলাইন ডেস্ক :

ভারতের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দিল্লির রাস্তাঘাট। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টসহ রাজধানীর বেশকিছু এলাকা ডুবে জনজীবনে ব্যাপক ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। কার্যত পুরো দিল্লিই এখন যমুনার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলে এই ভয়াবহ বন্যায় শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকাশ ভাওয়ানসহ বন্যাকবলিত দিল্লির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা। এ ছাড়া ফ্রান্সে সফররত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃষ্টিতে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে দিল্লির বহু এলাকা জলমগ্ন। যমুনার পানিতে ভেসে গেছে দিল্লির বহু বাড়িঘর, বাজার, রাস্তাঘাট, পর্যটনস্থল। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

রাজধানীর কোথাও কোমর পর্যন্ত আবার কোথাও বুক পর্যন্ত পানি। রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় যানচলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন প্রশাসন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুরাতন রেলওয়ে ব্রিজের কাছে যমুনার পানির উচ্চতা সকাল ৯টায় ২০৮ দশমিক ৪০ মিটার রেকর্ড করা হয়। ঘণ্টার ব্যবধানে আরও খানিকটা কমে সকাল ১০টায় ২০৮ দশমিক ৩৮ মিটার হয়। যমুনার পানি ধীরগতিতে কমতে থাকলেও এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশে কমপক্ষে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত পাঁচ দিনে মারা গেছেন ৪২ জন। ওই রাজ্যে শতাধিক মানুষ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। বন্যার পানিতে গাড়ি, বাস, সেতু, বাড়িঘর ভেসে যাচ্ছে। এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় যমুনার পানি ২০৮ দশমিক ৪৬ মিটার উচ্চতায় ছিল, যা বৃহস্পতিবার রাতে ছিল ২০৮ দশমিক ৬৬ মিটার।

কেন্দ্রীয় পানি কমিশন আভাস দিয়েছে, শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টার মধ্যে পানির উচ্চতা আরও কমে ২০৮ দশমিক ৩০ মিটার হতে পারে। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন বলা হয়, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ১৬ জুলাই পর্যন্ত দিল্লির সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ) সরকার। সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিপুল সংখ্যক কর্মী পানির প্রবাহ বন্ধ করার জন্য ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছেন।