অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের লাদাখের পর এবার উত্তপ্ত হয়েছে উঠছে উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ। চীনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জোরদার করতেই পূর্ব সেক্টরে নতুন অস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তে উভয় পক্ষের সেনা মুখোমুখি অবস্থানের কারণে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। প্রায় ১৬ মাস আগে চীন ও ভারতের সেনারা প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়ায়। হিমালয়ের পাদদেশে দুর্গম এলাকায় দুই দেশের সীমানা বিভাজনকারী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) পেশিশক্তি দিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। এলএসির আশপাশে গত এক দশকে দেশ দুটি ব্যাপকভাবে রাস্তা, সেতু, রেল লিংক ও এয়ার ফিল্ড নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। গত বছর লাদাখে কেন্দ্রের শাসন প্রতিষ্ঠার পর ভারত তার সামরিক ঘাঁটির সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাস্তা নির্মাণ করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এই উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের নেতারা এ পর্যন্ত ১৩ দফা বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ গত রোববারের বৈঠকটিও ব্যর্থ হয়। তবে এবার উত্তেজনা বেড়েছে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর অরুণাচল সফর ঘিরে। ৯ অক্টোবর ওই রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশনে বক্তব্য দেন নাইডু। এর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় চীন। এমন প্রেক্ষাপটে সীমান্তে ভারী অস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন করে ভারত ও চীন। পরস্পরের বিরুদ্ধে সীমান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ করে এ পদক্ষেপ নেয় দেশ দুটি। এরইমধ্যে শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দিল্লি ও বেইজিং ১৪তম বৈঠকের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে এ দ্বিপক্ষীয় সভার তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
আরও পড়ুন
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ: জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
শ্রীলঙ্কায় প্রতিযোগিতা চলাকালে রেসিং কারের ধাক্কায় নিহত ৭
জাপানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: নিখোঁজ সাত ক্রুর সন্ধানে অভিযান চলছে