September 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, September 15th, 2024, 8:10 pm

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে খুলনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-বসতবাড়ি, ভেসে গেছে মাছের ঘের

টানা দুইদিনের ভারী বর্ষণের ফলে খুলনার অধিকাংশ রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, তেলিগাতী, উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক, বসতবাড়ি, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ইনস্টিটিউটে পানি ঢুকে গিয়েছে। গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের খেলার মাঠেও হাঁটু সমান পানি দেখা গেছে। প্রতিভাময়ী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনের সড়কও হাঁটু সমান পানির নিচে।

এছাড়াও খুলনার শেরেবাংলা রোড, নিরালা, টুটপাড়া, মৌলভীপাড়া, তালতলাসহ অধিকাংশ এলাকা হাঁটু পানিতে ডুবে আছে।

এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত পাঁচ বছর ধরে এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই এলাকার রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব পানিতে তলিয়ে যায়।

এই দুর্ভোগ নিরসনে কোনো মন্ত্রী-এমপি, সিটি কর্পোরেশন বা কোনো জনপ্রতিনিধি এ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

তেলিগাতী গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় অনেক দুর্ভোগ। পানি সরতে পারছে না। এ কারণে পানি জমে আছে। প্রতিবছর বৃষ্টি হলেই এরকম হয়। গতকালকে বৃষ্টি হয়েছে আজকে এরকম হচ্ছে। থাকবে আরও কয়েকদিন। তারপর হয়তো আস্তে আস্তে পানি সরবে। এলাকার অনেক ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। তাদের দুর্ভোগ হচ্ছে বেশি।’

গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের ভেতর পানি জমে যায়। ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক সময় ক্লাসরুমেও পানি ঢুকে যায়। বাচ্চাদের খেলার মাঠে হাঁটু সমান পানি জমে গেছে। পানি জমে থাকায় মশার উপদ্রব বাড়ে। দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এলাকার পানি নিষ্কাশনের কোনো সু-ব্যবস্থা নেই। ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

——ইউএনবি