জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী (কলাপাড়া):
বসন্ত বরণ আর বিশ্ব ভালবাসা দিবসে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। ফাগুনের আগুন ধরা রঙে হৃদয় রাঙানো বাসনা নিয়ে সমুদ্রের নীল জলে পা ভেজানো স্পন্দন কিংবা অনুভূতি কি যে শিহরণ যোগায় তা খুব কাছাকাছি থেকেই বোঝা যায়। মনের সেই জমানো, অব্যক্ত কথা প্রকাশের জন্য এসব যুগল বেছে নেয় বিশ্ব ভালবাসা দিবস। সমুদ্রে সাতার কাটাসহ সৈকতে দাড়িয়ে প্রিয়জনের সাথে সেফলি তুলে দিনটি উপভোগ করছেন তারা। অনেকে আবার ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা ওয়াটার বাইকে। এদিকে কুয়াকাটার অন্যান্য পর্যটন স্পটেও রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্টসহ দর্শনীয় স্থানে নেচে-গেয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে অগণিত পর্যটক যুগল। আবাসিক হোটেল-মোটেল, খাবার হোটেল ও বিপণি বিতানগুলোতেও পর্যটকের পদচারণায় তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে কারনে এসব পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।
এ দিবসটি উপলক্ষ্যে রেকর্ড পরিমাণে ফুল বিক্রি হয়েছে। তাবে তা চড়া দামে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ করেছে অনেকে।
সৈকতে কথা হয় পর্যটক মো ইয়াছিন খানের সাথে। তার মাত্র এক মাস আগে বিয়ে হয়েছে। ভালাবাসা দিবস উপলক্ষ্যে তার স্ত্রীকে নিয়ে কুয়াকাটায় হানিমুনে এসেছেন। তিনি জানান, এ দিবসটি স্মরণে থাকবে। তবে সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি স্থাপন এক অন্যরকম অনুভূতি। আর এখানকার বেশকিছু স্মৃতি মোবাইল ধারণ করে রেখেছি। অপর এক পর্যটন তাছরিন আক্তর মৌ বলেন, এই প্রথম কুয়াকাটায় এসেছেন। ঢাকা থেকে সড়ক পথে মাত্র সাড়ে ৫ ঘন্টায় এখানে পৌঁছেছি। কি যে ভাল লাগছে তা বুঝতে পারবনা। পর্যটক মেহীদি হাসান তমাল বলেন, কুয়াকাটা হলো আমার প্রিয় একটি স্থান। তাই ছুটি ছাড়া বিশেষ কোন দিনে এখানে বার বার এখানে ছুটে আসি।
ট্যুরিস্ট বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি জনি আলগীর জানান, বিশ্ব ভালবাসা দিবসে অন্যান্য দিনের তুলনায় পর্যটকের সমাগম একটু বেশি। সমুদ্র পথে দর্শনীয় স্থান ঘুরার জন্য তাদের ট্যুরিস্ট বোর্ডগুলা প্রস্তুত রেখেছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন,পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেশি হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া দর্শনীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন
রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে, হতাশ পর্যটকরা
পর্যটকদের ওপর কর প্রায় তিন গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নিউজিল্যান্ড
ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলো সীমিত পরিসরে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে