অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দেখেছে পাকিস্তান। চাপম্যানের ৮৭ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছে তারা! হারের পর নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুতে টস হারলেও ব্যাটিংটা খারাপ ছিল না স্বাগতিকদের। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম বড় ইনিংসের আভাস দিচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্য ২১ বলে ২২ রানে রিটায়ার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান।
হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা থাকায় পরে আর মাঠে নামেননি তিনি। টপ অর্ডারে বাবর ৩৭ রানে অবদান রেখেছেন। তার পর শেষ দিকে শাদাব খানের ৪১ ও ইরফান খানের ৩০* রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় তারা। যদিও এই ভেন্যুতে এমন স্কোর মোটেও খুব বেশি নয়। গড় স্কোর তার চেয়েও বেশি হয়ে থাকে। ম্যাচের পর রিজওয়ানের চোট নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে বাবরের, ‘আমার কাছে ব্যাটিংটা মোটেও খারাপ মনে হয়নি। শেষ দিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছি। তবে আমার মনে হয় ১০ রান কম হয়েছে। রিজওয়ান চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। তখন নতুন ব্যাটারকে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে হতো। কিন্তু সেটা মোটেও সহজ কাজ নয়।’
বাবরের মতে শাদাব আর ইরফানের জুটি ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে তাদের, ‘শাদাব আর ইরফানের জুটি আমাদের ভালো মতোই রিকোভার করতে সাহায্য করেছে। এই মাঠে গড় স্কোর কিন্তু ১৮০-১৯০। তাই ব্যাটিংটা খারাপ হয়নি।’ আব্বাস আফ্রিদি (২৭ রানে দুটি) ও নাসিম শাহ (৪৪ রানে একটি) শুরুর দিকে একটি করে উইকেট নিলেও বল হাতে পরে সেভাবে কিছু করতে দেখাতে পারেনি তারা। তার পর ছিল ক্যাচ ছাড়ার মহড়া!
পাকিস্তানকে যার খেসারত দিতে হয়েছে। বাবরও আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘শুরুর দিকে আমরা খারাপ করিনি। কিন্তু ক্যাচ ছাড়লে সেটা পার্থক্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে মার্ক চ্যাপম্যান; যে নাকি সব সময় আমাদের বিপক্ষে ভালো খেলে। তার মতো সেট ব্যাটারের ক্যাচ ছাড়লে সে তো মুহূর্তেই ম্যাচ কেড়ে নিয়ে যাবে।’ এখন পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন তিনি, ‘সব মিলে আমরা পরিকল্পনা মতো বোলিং করিনি, এটা স্বীকার করতেই হবে। এখন এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে যেন পরের ম্যাচে একই ভুল না হয়।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা