শুক্রবার ভোরে সারাদেশে সংগঠিত ভূমিকম্পে চট্টগ্রামে তিনটি বহুতল ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। নগরীর চকবাজারের উর্দু গলি, বহদ্দারহাট খাজা সড়কের সাবানঘাটা এবং হালিশহর পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের খাল পাড়ে নিউ এল ব্লক এলাকায় এই তিনটি ভবন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তিনটি ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে হেলে থাকা ভবন তিনটি এখন কতটা ঝুঁকিপূণ অবস্থায় রয়েছে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, নগরের দু’টি এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়েছি। ফায়ার সার্ভিস ও সিডিএর টিম ভবনগুলো পরিদর্শন করছে। খাজা রোডের চারতলা ভবনটি একটু হেলে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমাদের টিমের সদস্যরা। চকবাজারের ভবনটি পরিদর্শন করে টিম এখনো রিপোর্ট দেয়নি।
তিনি জানান, শনিবার ফাইনালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয় তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) ভবন ভাঙার জন্য চিঠি দেয়া হবে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিচালিত ‘আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার’ (ইইআরসি) এর গবেষণায় জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৭৮ শতাংশ ভবনই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪১টি ওয়ার্ডের এক লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজারই ভূমিকম্প-ঝুঁকিতে রয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল ভবন এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো। ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে এসব ভবন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ধসে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে শুক্রবার ভোরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে ৬.১ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই কম্পন অনুভূত হয়।
–ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি