অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অ্যারোস্পেস কোম্পানি স্পেসএক্স-এর ৪০টি উচ্চগতির ইন্টারনেট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরে ভূ-চুম্বকীয় ঝড়ের কারণে কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়েছে। তবে, এগুলো বায়ুম-লে পুড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর জন্য হুমকি খুব সামান্য। স্পেসএক্স-এর বরাতে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। সূর্যের করোনা থেকে উচ্চশক্তির বিকিরণ পৃথিবীর বায়ুম-লে আছড়ে পড়লে ভূ-চুম্বকীয় ঝড় (জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম) সৃষ্টি হয়। এর ফলে বায়ুম-লের ঊর্ধ্বস্তরে স্থিতি ব্যাহত হয়, যা কক্ষপথে থাকা বস্তুকে নিচে টেনে নিয়ে আসে। স্পেসএক্স-এর উচ্চগতির ইন্টারনেট স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সর্বশেষ ৪৯টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে। এবং কক্ষপথের প্রাথমিক স্তরে পৃথিবী থেকে ২১০ কিলোমিটার ওপরে স্থাপন করে। পরে আরও উঁচুতে স্থাপনের আগে স্যাটেলাইটগুলো চেকআপের জন্য সেখানে রাখা হয়। এরপর গত শুক্রবার ভূ-চুম্বকীয় ঝড়ে স্যাটেলাইটগুলো কক্ষচ্যুত হয়। ধনকুবের এলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ঝড়ের কারণে আমাদের বায়ুম-লের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং নিম্ন কক্ষপথে বায়ুম-লের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। স্যাটেলাইটগুলোতে থাকা জিপিএস তথ্যে জানা যায়, ঝড়ের গতি এবং বায়ুম-লীয় টানের তীব্রতায় কক্ষপথ ৫০ শতাংশের বেশি প্রসারিত হয়।’ এ অবস্থায় স্টারলিংক উপগ্রহগুলোকে ভূ-চুম্বকীর টান থেকে আশ্রয় নিতে একটি নিরাপদ মোডে থাকার বার্তা পাঠায়, যাতে এগুলো কাগজের সিটের মতো প্রান্তের দিকে উড়ে যায়। কিন্তু, এ জটিল অনাকাক্সিক্ষত কৌশল গ্রহণ সত্ত্বেও বেশির ভাগ স্যাটেলাইট কক্ষপথ বাড়াতে ব্যর্থ হয়। এবং প্রায় ৪০টি পুনরায় পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশ করবে অথবা এরইমধ্যে প্রবেশ করেছে। স্পেসএক্স জোর দিয়ে বলেছে, উপগ্রহগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের কোনো ঝুঁকি নে। বায়ুম-লে এগুলো পুড়ে যাবে, পৃথিবীতে কোনো ধ্বংসাবশেষ ছুটে আসার আশঙ্কা নেই। তবে, নাসা এখনও এ বিষয় কোনো মন্তব্য করেনি। স্পেসএক্স ২০১৯ সালের মে থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে এবং এগুলো প্রায় বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সুবিধা দিচ্ছে। কোম্পানি সম্প্রতি আরও ১২ হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। পৃথিবী থেকে এক হাজার ২০০ মাইল দূর পর্যন্ত প্রায় চার হাজার স্যাটেলাইট সক্রিয় রয়েছে। এবং স্পেসে রকেট ও প্রোবের ১৫ হাজার টুকরো ধ্বংসাবশেষ ভেসে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২