November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, July 4th, 2023, 8:33 pm

ভোগের কাভারে নজরকাড়া রেখা!

অনলাইন ডেস্ক :

বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী রেখা। পঞ্চাশের দশকের শেষ লগ্নে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে হাতেখড়ি তার। ১৯৬৯ সালে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। সত্তর দশকের শেষের দিকে তারকা খ্যাতি লাভ করেন। ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। রেখার বয়স এখন ৬৮ বছর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে প্রথমবার ভোগ ম্যাগাজিনের কাভার গার্ল হলেন বরেণ্য এই অভিনেত্রী। ৬৮ বছর বয়সে ভোগ অ্যারাবিয়ায় রাজকীয় বেশে কাভার গার্ল হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রেখা। ভোগ ম্যাগাজিনে নানা রূপে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে।

একটি ছবিতে রেখার মাথায় জরির কাজ ভর্তি টুপিসহ সোনালি জরি এবং ছোট পাথরের কাজ করা পোশাকে দেখা যায়। উইংগড লাইনার, মেরুণ লিপস্টিকের সঙ্গে খোঁপা, জড়োয়ার গহনায় নজর কেড়েছেন তিনি। আরেকটি ছবিতে তাকে ইজিপশিয়ান রানির বেশে দেখা যায়। তার মাথায় ময়ূরের পেখমের মতো মুকুট, কানে পেল্লাই সাইজের একটি দুল। পরনে মুকুটের সঙ্গে ম্যাচ করা সোনালি পোশাক, যেখানে নীল-সোনালি জরির কাজ করা কলার এবং হাতা দেখা যাচ্ছে। আরব দেশের রানির বেশেও ধরা দিয়েছেন রেখা। এ ছবিতে তার মাথায় টিকলি, ফুল স্লিভ ব্লাউজের সঙ্গে সোনালি রঙের শাড়িতে যেন তার রূপ আরো ফেটে পড়ছে। পায়ে পরেছেন স্টিলেটো। এ ছবি দেখে কে বলবে তার বয়স ৬৮ বছর? সাদা আনারকলি, নাগরা জুতার সঙ্গে ম্যাচিং গহনা পরিহিত অবস্থায় আরেকটি ছবিতে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন রেখা। তবে অন্য একটি ছবিতে পশ্চিমা পোশাকে চমক দিয়েছেন রেখা। সাদা কলার এবং হাতাওয়ালা কালো গাউনে নজর কেড়েছেন তিনি।

এ লুকে তার মাথায় রয়েছে ব্রিটিশ টুপি। রেখার সাজসজ্জার পেছনের কারিগর হলেন মণীষ মালহোত্রা। তিনি বলেন- ‘এই ফটোশুটের জন্য তার স্টাইলিং এবং ডিজাইনিংয়ের অভিজ্ঞতা আমার কাছে স্মরণীয়। এই কাজটি করতে গিয়ে তার উচ্ছ্বাস আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে। কস্টিউম ফিটিংস নিয়ে তার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছি।’ ১৯৫৪ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন রেখা। তার মায়ের নাম পুষ্পাবল্লী। তিনি তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী ছিলেন। মায়ের কথা স্মরণ করে রেখা ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন- ‘আমার মা ছিলেন আমার পরামর্শদাতা। তিনি এমন একজন নারী ছিলেন যার অনুভূতি ছিল দেবীর মতো। তিনি আমাকে ভদ্রতা এবং ভালোবাসার সঙ্গে বাঁচতে শিখিয়েছেন।’