অনলাইন ডেস্ক :
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা জারির নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তিনি এ ঘটনায় ‘চরম হতাশ’ এবং একে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে অবশ্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ এরইমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ এর প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ থেকে নিজেদের দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার এ নতুন ধরন শনাক্ত হয়। দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ গাউতেং থেকে সংগৃহীত করোনার নমুনাটি বিশেষভাবে দ্রুত সংক্রমণে সক্ষম বলে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা। পরে তা দক্ষিণ আফ্রিকার সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গত শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্টকে বা ‘উদ্বেগজনক’ ঘোষণা করে এবং এর নাম দেয় ‘ওমিক্রন’। এরপরই বিভিন্ন দেশ একে একে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। আফ্রিকা অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডব্লিউএইচও’র পরিচালক ম্যাতসিদিসো মোয়েতি গত রোববার বলেছেন, ‘ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট বিশ্বের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকাকে লক্ষ্য করে দেওয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বভ্রাতৃত্বে আঘাত হেনেছে।’ প্রেসিডেন্ট রামাফোসা রোববার বলেছেন, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো ভিত্তি নেই। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলো অন্যায্য বৈষম্যের শিকার হয়েছে।’
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু