অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্য মণিপুরে সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি ১২ বিদ্রোহীকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল নারীরা। প্রতিবাদী নারীদের চাপের মুখে সকলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সেনারা। ওই ১২ জনকে গত শনিবার সকালেই আটক করা হয়েছিল। তারা মেইতেই উগ্রবাদী গোষ্ঠী কাঙলেই ইয়ায়ুল কান্না লুপের (কেওয়াইকেএল) সদস্যের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছিল। কাঙলেই ইয়ায়ুল কান্না লুপ গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর ওপর বহু হামলায় জড়িত। গত শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় বিদ্রোহীদের সাথে সেনাদের সংঘর্ষ চলেছে। সেনারা ১২ জনকে বন্দি করে। কিন্তু বহু মানুষ একত্র হয়ে বন্দিদের মুক্তির দাবি করে। অন্তত এক হাজার ২০০ জন ছিলেন ওই দলটিতে। যার নেতৃত্বে ছিল নারীরা।
প্রাণহানির সম্ভাবনা এড়াতেই দিনের শেষে নতিস্বীকার করে নেয় সেনা। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘পরিস্থিতি স্পর্শকাতর। তার গুরুত্ব বুঝেই বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নারী পরিচালিত বিশাল বিক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে বাহিনী শক্তি প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি হতে পারত।’ গত শনিবার সারাদিন নারী পরিচালিত জনতার সাথে সেনার সংঘর্ষ চলে। সেনাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। কিছুতেই তাদের আগাতে দেয়া হচ্ছিল না। তারপরই বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যে গোষ্ঠীর সদস্যদের ছেড়ে দিতে হয়েছে, তারা ২০১৫ সালে ৬ ডোগরা ইউনিটের হামলার সাথে যুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের ধরার চেষ্টা চলছিল। মণিপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিক্ষোভে নারীদের ভূমিকা আলাদা করে নজর কাড়ছে বার বার।
এর আগে নারীদের প্রতিরোধের মুখে কখনো আটকা পড়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি, কখনো ফিরে যেতে হয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলকে। সেনার গাড়ির সামনে কয়েক শ’ নারী বসে তাদের আটকে দিয়েছিল কিছু দিন আগেই। অস্ত্র লুটের তদন্তে যাওয়া সিবিআইয়ের দলকে একইভাবে মণিপুর পুলিশ ট্রেনিং কলেজে ঢুকতে দেননি প্রায় দু’হাজার নারী। এবার সেনাকে ঘিরে তাদের হাত থেকে বন্দিদের ছাড়িয়ে নিলেও ওই নারীরাই।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু