অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের মণিপুর রাজ্যে সম্প্রতি দুই নারীকে নগ্ন করে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা (সিবিআই)। দেশব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপের মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে সূত্র বলছে, উত্তর-পূর্ব রাজ্যের বাইরেও বিচার চালাতে চায় সরকার। রাজ্যটি গত তিন মাস ধরে সহিংসতায় জর্জরিত। এই মামলায় ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেষ একজনকে সোমবার থাউবাল জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হলফনামায় বলা হয়েছে, শনাক্ত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক অভিযানের জন্য বেশ কয়েকটি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে।
একজন অতিরিক্ত এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবিচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিচার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিচালিত হওয়া উচিত বলেও মনে করছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র জানায়, নারীর বিরুদ্ধে যে কোনো অপরাধের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতিতে চলে কেন্দ্র সরকার। এসব ঘটনাকে অত্যন্ত জঘন্য বলে মনে করে কেন্দ্র। বিষয়টি কেবল গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত নয় বরং বিচার হওয়া উচিত। পার্লামেন্টের বর্ষাকালীন অধিবেশনের আগে মণিপুরের ভিডিওটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করে হাউসে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল বিরোধীরা। একপর্যায়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবেরও গুঞ্জন ওঠে।
একটি সূত্র জানায়, অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর সরকার মণিপুর আলোচনার জন্য সহযোগিতা চাইতে পারে। এদিকে বিরোধী ভারত ফ্রন্টের সংসদ সদস্যরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে শনিবার এবং রোববার মণিপুরে যাবেন। মণিপুরে গত মে মাসে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৪০ জনের বেশি মানুষ নিহ হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। হাজার হাজার মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। মণিপুরের সহিংসতা বিদেশেও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর একটি রেজুলেশন গ্রহণ করেছে মণিপুরে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের উল্লেখ করে। তবে ভারত সরকার বলছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পদক্ষেপ ঔপনিবেশিক মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে। এটা অগ্রহণযোগ্য। সূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু