November 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, March 16th, 2022, 8:31 pm

মতিনের জোড়া গোলে রোমাঞ্চকর জয় পেল কিংস

অনলাইন ডেস্ক :

জাতীয় দল কিংবা ক্লাব, সবখানে ‘ব্রাত্য’ হয়ে পড়া মতিন মিয়া বসুন্ধরা কিংসের শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েই আলো ছড়ালেন। তার অসাধারণ নৈপুণ্যের ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিংস অ্যারেনায় বুধবার সাত গোলের নাটকীয় ম্যাচটি ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। চলতি লিগে আগে কেবল একটি ম্যাচ খেলেছিলেন মতিন মিয়া। তাও বদলি হিসেবে। সদ্য ঘোষিত জাতীয় দলেও ঠাঁই মেলেনি তার। কিংসের দলে এদিন তার শুরুর একাদশে থাকাটা তাই অনেকের কাছে ছিল বিস্ময়ের। জোড়া গোল করে জবাব দেন মতিন; কিংসের বাকি দুই গোলদাতা রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো ও খালেদ শাফিই। সাইফ স্পোর্টিংয়ের তিন গোলদাতা এমফন সানডে উদোহ, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রিয়াদুল হাসান রাফি। ৯ ম্যাচে টানা আট জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও শক্ত করল কিংস। চতুর্থ হারের তেতো স্বাদ পাওয়া সাইফ স্পোর্টিং ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে। তৃতীয় মিনিটে সোহেল রানার পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে বিনা বাধায় বক্সে ঢুকে পড়েন রবিনিয়ো। এরপর নিখুঁত কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৯ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এককভাবে শীর্ষে উঠলেন তিনি। অষ্টাদশ মিনিটে আসরোর গভুরভের থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেন ফাহিম। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো তাকে ফেলে দিলেও রেফারি খেলা চালিয়ে নেন। আলগা বল অনায়াসে জালে জড়িয়ে দেন নাইজেরিয়ান উদোহ। ২৬তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে বসে সাইফ স্পোর্টিং। মেরাজ হোসেন অপির ব্যাক পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি নাসিরুল ইসলাম। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দূরের পোস্টের উপরের কোনা দিয়ে চলতি লিগে গোলের খাতা খোলেন মতিন। ৪৮তম মিনিটে সতীর্থের পাস ধরে আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি বিপলু আহমেদ। পোস্ট আগলে দাঁড়ানো ডিফেন্ডার রাফির গায়ে মেরে নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ। দুই মিনিট পর রবিনিয়োর নিচু ক্রসে দূরের পোস্টে মতিন ও ইয়াসিন আরাফাত কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। ৫৫তম মিনিটে আবারও নিজেদের ভুলে গোল খায় সাইফ স্পোর্টিং। গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায় বক্সেই বল দেন জামাল ভূইয়াকে। সতীর্থের উদ্দেশে জামালের পাস পৌঁছানোর আগেই ছুটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন মতিন। ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ৫৯তম মিনিটে সতীর্থের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে উদোহ দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শট হয়নি ঠিকঠাক। বল বেরিয়ে যাওয়ার আগে ফাহিম টোকায় স্কোরলাইন ৩-২ করেন। জমে ওঠে ম্যাচ। ৬৭তম মিনিটে কিংস কোচ মতিনকে তুলে নিয়ে স্তইয়ান ভ্রানিয়াসকে নামানোর পরই গোল হজম করে কিংস। উদোহর কর্নার জিকো পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। জটলার ভেতর থেকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতা ফেরান রাফি। ১০ মিনিট পর মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ক্রসে সাফিইয়ের হেড গোলরক্ষক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান। রবিনিয়োর কর্নারে হেডেই জয়সূচক গোলটি করেন ইরানি ডিফেন্ডার শাফিই।