November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, April 7th, 2022, 8:16 pm

মস্কোকে নতুন ফাঁদে ফেলতে চায় ইইউ

অনলাইন ডেস্ক :

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে নতুন করে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পাশাপাশি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাশিয়ার বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এ অবস্থায় সংশয় তৈরি হয়েছে ইউক্রেন সংকটের সহসা সমাধান হবে কি না, তবে এই সংকটে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার জ¦ালানি খাতের ওপর অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপকে একই রাস্তায় হাঁটার জন্য চাপ দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব উঠেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মধ্যে আছে রাশিয়ার কয়লা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞাও। যখন তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা চলছে তখন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর এসব উদ্যোগে প্রশ্ন উঠছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির ভূমিকা নিয়েও কথা উঠেছে। দাবি তুলেছেন রাশিয়াকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বহিষ্কারের। সার্বিক অর্থনৈতিক বিচারে রাশিয়ার ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞায় মস্কো যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হবে তার থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপ। কারণ কাঁচামাল ও জ¦ালানির জন্য ব্যাপকভাবে মস্কোর ওপর নির্ভরশীল তারা। তবে নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার অনুপস্থিতিতে ইউরোপের বাজারে একচেটিয়াভাবে রাজত্ব করবে মার্কিন জ¦ালানি কোম্পানিগুলো। ইউরোপের সবচেয়ে শিল্পোন্নত জার্মানির গ্যাসের ৫৫ শতাংশ, কয়লার ৫০ শতাংশ এবং তেলের ৩৫ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া ফিনল্যান্ডের ৬৭ শতাংশ, ইতালির ৪০ শতাংশ, অস্ট্রিয়া, হাংগেরি, স্লোভেনিয়া এবং স্লোভেকিয়ার ৬০ শতাংশ, পোল্যান্ডের ৮০ শতাংশ এবং চেক রিপাবলিক ও লাটভিয়ার প্রায় সবটুকু গ্যাস আমদানি রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এই দেশগুলো রাশিয়া থেকে গ্যাস নেওয়া বন্ধ করলে সবচেয়ে লাভবান হবে যুক্তরাষ্ট্রের জ¦ালানি খাত। এলএনজির পাশাপাশি নিজেদের শেল গ্যাস ইউরোপের কাছে বিক্রি করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের শুরু থেকেই ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতিতে আক্রান্ত ইউরোপ। ইইউ জোনে মুদ্রাস্ফীতি গত মার্চ মাসে সাড়ে সাত শতাংশ অতিক্রম করে। রাশিয়ার ওপর জ¦ালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে এই মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। ইনডিপেনডেন্ট ডট ইউকে।