অনুমোদনহীন ও অব্যবস্থাপনার দায়ে মাগুরায় অবৈধ সাত প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) থেকে বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে অভিযোগ উঠেছে অধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ড. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেছেন, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আদেশ অমান্য করে কেউ বন্ধ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, মাগুরা শহরের অলিগলিতে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার গড়ে উঠেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশের নেই কোনো সরকারি অনুমোদন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে শহরের সালেহা, শান্তি, পপুলার, একতা, ইবনে সিনা, আল্ট্রাল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বন্ধ হওয়া এসব প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তাব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে না থেকেও কর্মচারী দিয়ে কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
এদিকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা বলছেন, এসব ক্লিনিক যে অবৈধ তা তারা জানেন না।
বন্ধ ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারদের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নার্স-আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যেসব রোগী রয়েছে তা আগে ভর্তি হয়েছে। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন রোগী ভর্তি করেননি।
জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলম জানিয়েছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চান। সিভিল সার্জন অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা সেটিকে সমর্থন করেন।
সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, তারা জেলার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মানহীন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলায় মোট প্রাইভেট ক্লিনিকের সংখ্যা ১২৪টি। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক অনুমোদনবিহীন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি