বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স বিরুদ্ধে সৃষ্ট যেকোনো সংকট নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেডিকেল সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড.মিল্টন হলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।
শারফুদ্দিন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে শনাক্তযোগ্য ও বর্ধনশীল ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী পাওয়া গেছে। যদিও বাংলাদেশে এখনো এই রোগের কোনো রোগী ধরা পড়ে নাই। তবে আমরা এটা সম্পর্কে সতর্ক করছি। দেশের মানুষ যে কোন ধরনের গুজব বা আতঙ্ক এড়িয়ে চলে আমরা জাতিকে নিরাপদ রাখতে পারবো।
শারফুদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিকেলের তত্ত্বাবধানে আগামী ২৮ আগস্ট দেশের প্রথম সেন্টার বেইসড এই সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতালের শুভ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী।
উপাচর্য বলেন, এই হাসপাতালটিও পদ্মা সেতুর মতো সরকারের জন্য একটি মাইলফলক। আমরা নিশ্চিত করব যে প্রত্যেক রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে বিস্তারিতও জানান।
‘মাঙ্কিপক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস যার প্রাথমিক সংক্রমণ সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে। ২৬ শতাংশ রোগীর মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে এইচআইভি-পজিটিভ ধরা পড়ে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাধ্যম বলে বিবেচিত। ৯০ শতাংশ রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।’
তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে করে চিকিৎসা করতে হবে।
বিফ্রিংয়ে বিএসএমএমইউ’র উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডিন অধ্যাকপ ডা. দেবব্রত বনিক, মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার-ই-মাহাবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি