অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অবৈধ মাদকের উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে। সোমবার (২৭ জুন) জাতিসংঘ সতর্ক করে এ কথা বলেছে। এদিকে আফিম বাজারের ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন আফগানিস্তানের ওপরও নির্ভর করছে। খবর এএফপি। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্বাভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, যুদ্ধাঞ্চলগুলো সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এতে আরও বলা হয়, যুদ্ধকবলিত এলাকা বৃহৎ ভোক্তা বাজারের কাছাকাছি হলে এর প্রভাব আরও বেশি হতে পারে। ইউএনওডিসি বলছে, ইউক্রেনে ভেঙে দেয়া আফিম ল্যাবরেটরির সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিল ১৭টি, যা ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৯টি। বিশ্বে ২০২০ সালে জব্দ ল্যাবরেটরির এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা। সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির সক্ষমতা ইউক্রেনের আরও বেড়ে যাবে। কারণ, যুদ্ধচলা কোনো দেশে এ ধরনের ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ বা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। এদিকে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, বিশ্বে ২০২১ সালে ৮৬ শতাংশ আফিম উৎপাদনকারী দেশ ছিল আফগানিস্তান। এই দেশটিই আফিম বাজারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। গত এপ্রিলে তালেবান পপি চাষ নিষিদ্ধ করেছে, তবুও দেশটির মানবিক সংকটে পপি উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের প্রভাব বিশ্বের সব অঞ্চলে পড়বে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ২০২১ সালে ২৮ কোটি ৪০ লাখ লোক মাদক গ্রহণ করে। ২০১০ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেশি। এদিকে বিশ্বে কোকেইন উৎপাদনেও নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বিশ্বে ২০২০ সালে ১ হাজার ৯৮২ টন কোকেইন উৎপাদিত হয়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু