জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
১১ মাসের শিশু আরিয়ান আহমেদ। সে বাঁচতে চায়। ফুটফুটে এ শিশুটির জন্মের মাত্র ২৫দিন পর হার্টে ও ফুসফুসে ছিদ্র ধরা পড়ে। এখন অপারেশন না করলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর জাবেদ আলী ও গৃহিণী ফাহিমা বেগমের ছেলে আরিয়ান। শিশুসন্তানের এ অসুস্থতা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে দিনমজুর জাবেদ মিয়ার পরিবার। বড় মেয়ে ফারিয়া স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।
প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও সন্তানের চিকিৎসার চার লাখ টাকার ব্যয়ভার যোগাড় করতে পারছেন না আরিয়ানের বাবা। পৈত্রিক দেড় শতক জমি বিক্রি করে এক লাখ টাকা ও আত্মীয়-স্বজনসহ মানুষের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত আরিয়ানের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশ স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের নবজাতক, শিশু স্ট্রাকচারাল ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিষ্ট এবং ইনটেনসিভিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক নুরুন্নাহার ফাতেমা (অবঃ) অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ডাক্তার জানিয়েছেন, বর্তমানে শিশু আরিয়ানের ফুসফুসের ছিদ্র বড় হয়ে গেছে। আগামী ছয় মাসের ভিতরে অপারেশন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন প্রায় চার লাখ টাকা। আরিয়ানের মাতা ফাহিমা বেগম বলেন, জন্মের ২৫ দিন পর আমার ছেলের প্রথমে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারকে দেখালে তিনি বলেন আরিয়ানের হার্টে সমস্যা রয়েছে। পরবর্তীতে সিলেটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ শাহাব উদ্দিন আহমদকে দেখানোর পর বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়।
তখন তিনি রিপোর্ট দেখে বলেন, আরিয়ানের হার্ট ও ফুসফুসে দুটি ছিদ্র ধরা পড়ে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাই। সেখানে ডাঃ নুরুন নাহারকে কয়েকবার দেখালে তিনি ফুসফুসের ছিদ্র অপারেশন করার পরামর্শ দেন। এখন প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকা যোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। আরিয়ানের বাবা জাবেদ আলী ও মাতা ফাহিমা তাদের মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে আরিয়ানের বাবার ০১৭৮৭-৫৬২৩৫৯ বিকাশ নাম্বার।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি