জেলা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে শ্বাসরোধে হত্যা দায়ে স্বামী (৩৬) কে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন। একই সঙ্গে আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
নিহত ফিরোজা আক্তার (২২) মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের ভাঙ্গা রামচন্দ্রপুর এলাকায় শামসুল দর্জির মেয়ে এবং মিরাজ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
দন্ডপ্রাপ্ত মিরাজ মিয়া পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুরের লক্ষীদিয়া এলাকায় বাতেন মাস্টারের ছেলে।
অভিযোগ পত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রীকে তালাকের পর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিক ভাবে মিয়াজ মিয়া ফিরোজার আক্তারকে বিয়ে করেন এবং প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ের জন্য ২০১৬ সালের ১৯ মর্চ রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী ফিরোজা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির উঠানের নিচে ফেলে এসে স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানায় স্বামী মিরাজ মিয়া। এরপর বাড়ির উঠানের লাইগাছের জাংলার নিচ থেকে ফিরোজার মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের লোকজন। এঘটনায় ১৯ তারিখ সকালে নিহতের বাবা শামসুল দর্জি বাদি হয়ে স্বামী মিরাজ মিয়াকে প্রধান আসামী করে তিনজনের নামে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
তৎকালিন দৌলতপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকর্মকর্তা আবু তালেব তদন্ত শেষে আসামী মিরাজ মিয়াকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে চার্শিট দাখিল করেন। মামলায় ১২জনের স্বাক্ষগ্রহন শেষে বিচারিক আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামী মিরাজ মিয়াকে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অতিরিক্ত পিপি মথুরনাথ সরকার সন্তোষ প্রকাশ করছেন। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবি মো.নজরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ