April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 3rd, 2022, 9:49 pm

মানুষকে কখনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনি: আইভী

অনলাইন ডেস্ক :

প্রতিটা ওয়ার্ডে উন্নয়ন হয়েছে, কাজ হয়েছে। আমি কখনও মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনি, অন্যায় কাজ করিনি, চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী করিনি। সবকিছু মিলিয়ে জনগণ আমাকে রায় দেবে বলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সোমবার (৩রা জানুয়ারী) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণার সময় এসব কথা বলেন তিনি। আইভী বলেন, বিগত পাঁচ দিন যাবত প্রচারণা চালাচ্ছি। আমি যেখানেই যাচ্ছি মুক্তিযোদ্ধা, এলাকাবাসী, দলের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ দল-মতের ঊর্ধ্বে ওঠে আমার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাতে বরাবরই সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। যে প্রার্থী বলেছেন তিনিও জানেন যে নারায়ণগঞ্জে সবসময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। আমি বিশ্বাস করি এবং নির্বাচন কমিশনকেও অনুরোধ করবো বিগত সময়ে যেভাবে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে প্রার্থী সবুজায়নের কথা বলে জলাশয় ভরাট করতে চায়, আপনাদের বুঝতে হবে তিনি দ্বৈত কথা বলছেন। তিনি কারও শেখানো কথা বলছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাস্তব উন্নয়নটা জানেন না এবং তিনি বুঝে উঠতে পারেননি এখানে কী কাজ হচ্ছে। আইভী বলেন, যে কাজগুলো চলমান সেগুলো শেষ করা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের চাহিদামত কাজ করে দেওয়া মাঠ করা শিশু বান্ধব নগরী করাই প্রাধন্য থাকবে। এদিকে একটা বড় খাল খনন হচ্ছে। এটা সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা। এটার কাজ এখনও চলমান। এরকম চলমান কাজগুলো সম্পন্ন করাই আমার মূল লক্ষ্য। আমি যে ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে আছি এখানে বড় একটা কবরস্থান আছে, পুকুর আছে। তাদের দাবি ছিল কবরস্থান ঠিক করে পুকুর সংরক্ষণ ও একটা ঈদগাহ করে দেওয়া। কবরস্থানের কাজ করেছি, পুকুরের কাজ চলছে এবং ঈদগাহের টেন্ডার হয়ে গেছে। আমার এবারের স্লোগান সবুজ শ্যামল নারায়ণগঞ্জ। এ সবুজ শ্যামল নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি জনগণকে আমার পানির সুব্যবস্থা করে দিতে হবে। তিনি বলেন, খালের ব্যাপারে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বলেছেন যে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ আমাকে বাধা দিয়েছে। হ্যাঁ, তারা বাধা দিয়েছে। তারা এ খাল ভরাট করে রাস্তা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি মিটিংয়ে মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলেছি যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জলাশয় সংরক্ষণ করতে চাচ্ছে সেহেতু আপনি জলাশয় ভরাট করে রাস্তা করতে পারবেন না। জলাশয়ের ওই পাশে অনেক জায়গা আছে। সেদিক দিয়ে রাস্তা করেন আমি জলাশয়টা সৌন্দর্যবর্ধন করে দিব। সে মোতাবেক আমি এখানে জলাশয় সংরক্ষণ করছি গাছ লাগাচ্ছি। ওই মিটিংয়ের পর তারা আমাকে বাধা দেননি।