অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বের বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে মান কমেছে মার্কিন ডলারের। বিপরীতে বেড়েছে বিটকয়েনের দাম। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সূচকে শনিবার ডলারের মান ছিল ১০৫ দশমিক ৪৭। কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সেই মান অন্তত দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল সংকটের সময়ে ডলারের মানের এই পতন বিগত কয়েক দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ফেডারেল রিজার্ভ’র চেয়ারপার্সন জেরোমি পাওয়েল গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছিলেন, মার্কিন অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সক্ষমতা রাখে। তার ওই বক্তব্যের পর ডলারের মান কিছুটা বেড়েছিল। এমনকি গত ১০ বছরে ডলার যে মান হারিয়েছেল জেরোমির বক্তব্যের পর সেই মান ৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ২০০৭ সালের পর সর্বোচ্চ।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলারের মানে পতনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনিটা এসেছে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি ডলারের মান পতনের অন্যতম কারণ। বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, যা আগামী ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন ও সেবা খাতের বর্তমান ট্রেন্ড-বিষয়ক প্রতিবেদন (পিএমআই) প্রকাশ করা হবে।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিটি ইনডেক্সের বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, এই পিএমআই তথ্য-উপাত্ত হয়তো চলতি অর্থবছরে বাজারের প্রত্যাশা কেমন হবে সেদিকে ইঙ্গিত দেবে। যদি পিএমআই তথ্য-উপাত্ত বাজারে একমুখী প্রবণতা দেখায়, তাহলে ডলার শক্তিশালী হবে। তবে যদি এর বিপরীত ঘটে, অর্থাৎ কোনো ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি তৈরি হলে ডলারের মান আরও কমে যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, বাজারের চরিত্র যা-ই হোক না কেন, ডলারের মান ধরে রাখতে সুদের হার নির্দিষ্টই, অর্থাৎ আগেরটাই রাখবে ফেডারেল রিজার্ভ। একই পথে হাঁটছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। সূত্র: রয়টার্স
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ