March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, October 9th, 2021, 7:15 pm

মালদ্বীপের কাছে হারের কারণ জানালেন রহমত মিয়া

অনলাইন ডেস্ক :

সাফে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের পরও খেলোয়াড়দের মনোবল একটুও নড়চড় হয়নি। তারা ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ আগামী ১৩ অক্টোবর। এর মধ্যে পাঁচ দিন হাতে পাচ্ছে বাংলাদেশ। শুক্রবার ম্যাচের পরদিন বাংলাদেশের ফুটবলাররা অনুশীলন করেনি। হালকা জিম করা এবং সুইমিং ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। এই ফুটবলার রাখঢাক না করে জানিয়েছেন মালদ্বীপের কাছে হারের কারণ। রহমত মিয়া বলেন, ‘মেইন প্রবলেম যেটা হয়েছে সাত দিনে তিন ম্যাচ খেলতে হয়েছে। একটা কঠিন কাজ। প্রতিপক্ষ দলগুলো আমাদের চেয়ে রেস্ট পেয়েছে। সাত দিন ম্যাচ মানে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি। এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ঢাকার বিপিএল না। ঢাকার ফুটবলে স্লো খেলা হয়। আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে গতি অনেক বেশি থাকে। আমরা সাত দিনে তিন ম্যাচ খেলেছি। আমাদের কিছুকিছু ফুটবলার, যারা প্রতি ম্যাচের শুরু হতে খেলেছে তারা ক্লান্ত ছিল। গতিময় ফুটবলের কাছে ক্লান্তির ছাপ খুব সহজেই ফুটে উঠে। যেটা মালদ্বীপের বিপক্ষে দেখা গেছে।’ রহমত বলেন, ‘সাফে সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণ ভাগ মালদ্বীপের। আমাদের কোচিং স্টাফরা এটা নিয়ে কাজ করেছেন এই লাইনটা ঠেকাতে হবে। ঐ যে বললাম এনার্জি ঘাটতি ছিল। পারফরম্যান্স ডাউন হয়ে গেছে।’ আশা ছাড়েননি এই ফুটবলার। এখনো ফাইনালে ওঠার সব সুযোগই দেখছেন রহমত মিয়া। ‘আসলে আমরা মালদ্বীপের ম্যাচে মাঠে যাওয়ার আগে সবার প্ল্যান ছিল যদি জিতে আসতে পারি তাহলে ভালো, পয়েন্ট নিয়ে ফিরব। যেহেতু হয়নি ভেঙে পড়িনি। একটা সপ্তাহ আমাদের জন্য টাফ সিচিউশেন গেছে। এখন পাঁচ দিন হাতে আছে এই সময়টা কাজে লাগাতে চাই আমরা।’ বৃস্পতিবার রাতে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন জানিয়েছেন খেলায় দুই দলের জন্য ফিফটি ফিফটি ছিল। প্রথমার্ধেই আমরা গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম। কাজে লাগল না। গোল হজম করে পিছিয়ে ছিলাম। যখন আমরা ফরমেশনে পরিবর্তন আনলাম। তিন ফুটবলার পরিবর্তনে আমাদের ছেলেরা আক্রমণ করে খেলল। তখনই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত আমাদের শেষ করে দিয়েছে। পরের ঘটনা তো সবার জানা। মালদ্বীপ একাধিক সুযোগও পেয়েছিল।