November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, October 23rd, 2023, 8:48 pm

মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারে মুইজুর কঠোর বার্তা!

অনলাইন ডেস্ক :

নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন, ভোটে জিতলে ভারতের কোনো সেনাকে মালদ্বীপে থাকতে দেবেন না। সময় নষ্ট না করে এবার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজে নেমে পড়েছেন দেশটির নবনির্বাচতি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা মালদ্বীপের মাটিতে বিদেশি কোনো সেনাবাহিনীর বুট দেখতে চাই নাৃআমি মালদ্বীপের জনগণকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং আমি একদম প্রথম দিন থেকেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করবো।” গত মাসে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সহিলকে হারিয়ে দেন দেশটির বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু। নভেম্বরের শেষ দিকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

বিবিসিকে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়লাভের কয়েকদিন পরই তিনি মালদ্বীপে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন এবং ‘তাকে খুব স্পষ্ট করেই বলেছি, এখানে থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে সরিয়ে নিতে হবে’। ভারত মহাসাগরের ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রটি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের প্রভাব বলয়ের মধ্যে রয়েছে। এখন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর এই সিদ্ধান্ত মালে-দিল্লি কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সহিল ভারতপন্থি এবং ২০১৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি দিল্লির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন। আর মুইজ্জু এবং তার দলীয় জোট যে চীনপন্থি তা আগে থেকেই স্পষ্ট। যে কারণে মালদ্বীপের গতমাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে এশিয়ার আঞ্চলিক দুই পরাশক্তির প্রভাব বিস্তারের লড়াই হিসেবেও দেখা হচ্ছিল। যে লড়াইয়ে আপাতত দৃষ্টিতে হেরে গেছে ভারত।

চীন ঋণের আকারে মালদ্বীপের অবকাঠামোসহ নানা উন্নয়ন খাতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। অন্যদিকে, ভারত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা মালদ্বীপের উপর নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। যাতে করে দেশটি সহজে ভারতে মহাসাগরের উপর নজরদারি করতে পারে। মালদ্বীপের উন্নয়ন খাতে সহায়তার জন্য ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগও করেছে ভারত। এখন যদি ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ ছাড়তে বাধ্য করা হয় তবে তা নিশ্চিতভাবেই দিল্লির জন্য বড় আঘাত হবে। মুইজ্জু বলেন, মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি দেশটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। বিশেষ করে হিমালয় সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা যেভাবে বাড়ছে। তিনি বলেন, “বৈশ্বিক ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে মালদ্বীপ খুবই ছোট রাষ্ট্র। আমরা ক্ষমতার এই লড়াইয়ে জড়াব না।”