অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অভিবাসন বিভাগের অভিযানে ১০২ বাংলাদেশিসহ ৩০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। ২১ জুন রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার অভিযানে সেলাঙ্গর প্রদেশের মুকিম, ডেংকিল এলাকার একটি কনস্ট্রাকশন সাইড থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ১০২ জন বাংলাদেশি, ১৯৩ জন ইন্দোনেশিয়া, ৮ জন মিয়ানমার (রোহিঙ্গা), ৪ জন ভিয়েতনাম, ২ জন ভারতের নাগরিক রয়েছেন। মোট ৩০৯ জনের মধ্যে ২৮০ জন পুরুষ এবং ২৯ জন নারী রয়েছে। নারীদের মধ্যে সবাই ইন্দোনেশিয়ান। অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি ইন্দেরা খায়রুল দাযাইমি দাউদের নেতৃত্বে অভিবাসন বিভাগ, জেনারেল মুভমেন্ট টিম (পিজিএ), জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগ (জেপিএন), জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং শ্রম বিভাগের ১৮৯ জন কর্মকর্তাদের স্বমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে ৭১৫ জন অভিবাসী আটকের পর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩০৯ জন অভিবাসীকে আটক করে নিয়ে যায় ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটকদের প্রথমে কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে পরে সেমেনিয়াহ ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দাযাইমি দাউদ জানিয়েছেন, স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (পিকেপি) লকডাউন এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) বিধিনিষেধ না মেনে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকছেন অভিবাসীরা। অভিবাসন বিভাগ বলছে, বিভিন্ন অপরাধে ২০ থেকে ৫২ বছর বয়সের এই বিদেশিদের ১৯৫৯/৬৩ এর ইমিগ্রেশন আইন এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর আওতায় আটক করা হয়েছে। এর আগে, গত ৬ জুন দেশটির সাইবারজায়ার একটি বিল্ডিং নির্মাণ স্থাপনা থেকে ৬২ বাংলাদেশিসহ ১৫৬ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়। দেশটিতে ধরপাকড় অভিযানের বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, এখানে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লাখ অবৈধ বিদেশি শ্রমিক রয়েছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই ইন্দোনেশিয়ান। অবৈধদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান ২য়। মাঝে মাঝেই মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে থাকে। সম্প্রতি ধর-পাকড় তাদের রুটিন কার্যক্রমের অংশ। এটা বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে নয় বরং সকল অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের জন্য পরিচালিত। তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল দেশেই অন্য দেশের অবৈধ নাগরিক থাকলে তাদের স্ব স্ব দেশে পাঠিয়ে দেয়। মালয়েশিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাবস্থা করে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিনিয়তই যোগাযোগের মাধ্যমে এই ধরনের ব্যাক্তিদের পরিচয় যাচাই পূর্বক তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে আসছে। বিষয়টি একান্তই রুটিন বিষয় সুতরাং এ বিষয়ে অতি মাত্রায় প্রচার-প্রচারণা একদিকে যেমন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে অযথা ভীতির সঞ্চার করতে পারে এবং অন্যদিকে বিদেশে বৈধভাবে বসবাসরত লাখ লাখ বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তির ক্ষতি সাধন করতে পারে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম