ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে বলে সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সরকারি তথ্য বিবরণীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মাস্ক হচ্ছে অন্যতম মাধ্যম বা উপকরণ যেটি করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
কোনো জরুরি কাজে কেউ ঘরের বাইরে গেলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকারের নির্দেশনা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।
মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা:
>কয়েক স্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো, যা এককালীন ব্যবহার করতে হবে।
>অনেকে মাস্ক পরার সময় নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখে, যা সঠিক নয়। বরং ওপরের মেটাল অংশটাকে নাকের সঙ্গে চেপে ও নিচের অংশটাকে থুতনির নিচে নিয়ে উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে। সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ঢেকে রেখে মাস্ক পরতে হবে।
>অনেকে মাস্ক থুতনি পর্যন্ত খুলে রেখে কথাবার্তা বলেন, এটাও ঠিক নয়। এতে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।
>সার্জিক্যাল মাস্ক ঘরে রেখে দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত নয়। একটি মাস্ক সর্বোচ্চ একদিন ব্যবহার করে সেটাকে ধ্বংস করে দিতে হবে।
>যেসব স্থানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল, যেমন-গণপরিবহন ও বাজার বা দোকানপাট, সেসব জায়গায় মাস্ক পরতেই হবে। পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় ও হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
>সাধারণ কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। অপরিষ্কার মাস্ক পরলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্যবহার করা মাস্ক জীবাণুমুক্ত করতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাস্ক সাবান পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
>ভেজা মাস্ক পরিধান উচিত না। এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
>বাইরে গেলে দুটি মাস্ক ব্যাগে রাখা দরকার। মুখে বাঁধা মাস্ক কোনো কারণে নষ্ট হলে বা ভিজে গেলে অন্যটি ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন
বিশ্ব কোভিড অবস্থার ইতি টানবে কিনা, বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
কভিড জরুরি অবস্থার অবসান হলো যুক্তরাষ্ট্রে