May 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, February 22nd, 2024, 8:54 pm

মাহির প্রসঙ্গে মুখ খলেলেন শবনম ফারিয়া

অনলাইন ডেস্ক :

সম্প্রতি নিজের সংসার ভাঙনের খবর দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। গত শুক্রবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় হাজির হয়ে নিজের বিচ্ছেদের খবর সকলকে জানান অভিনেত্রী। ২০২১ সালে গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারকে বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ডিভোর্সের পথে হাঁটতে চলেছেন এই দম্পতি।এদিকে মাহির বিচ্ছেদের খবরে ভক্তমহলেও চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। কেউ অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন, আবার কেউ সহমর্মিতা জানিয়ে পাশে থেকেছেন। ডিভোর্সের এমন এক পরিস্থিতিতে তাকে শক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মাহিয়া মাহির বিচ্ছেদের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে ট্রলে মেতে উঠেছেন নেটিজেনেরা।

বিষয়টি নিয়েই অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া গত মঙ্গলবার বিকেলে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন, কেউ ইচ্ছে করে কারো সংসার ভাঙে না। এমন এক পরিস্থিতিতে কাউকে কষ্ট দিয়ে কিছু বলাও উচিত নয়। ফারিয়া তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পর্দার সামনে কিংবা যে কোন পেশায় কাজ করলেও সবার একটা ব্যক্তিগত জীবন থাকে, সেখানে অনেক উঠা নামা থাকে! একটা মানুষ কত স্বপ্ন, কত আশা নিয়ে কারো সাথে সংসার শুরু করে জানেন? যখন কোনো কারণে সংসার করা সম্ভব হয় না সেটা কত কষ্টের জানেন? অভিনেত্রী লেখেন, বিশ্বাস করেন, সবার পরিবার থাকে।

পর্দার সামনে যারা কাজ করে তারা কেউ সমাজ বা পরিবারের বাইরের না। ধরেন, কোন কারণে আপনার বোনের সংসার টিকলো না, আশেপাশের মানুষ না জেনে তাকে আজেবাজে কথা বলছে, আপনার মায়ের কিংবা আপনার কেমন লাগবে? বিশ্বাস করেন, সবার মা ভাই-বোনদেরও সেইম লাগে। ফারিয়ার ভাষায়, একটা মানুষ তার কষ্টের কথা বলছে, আপনার হাতে একটা ফোন আছে তাই আপনি যা ইচ্ছে বলে দিলেন, এটা খুব খুব খারাপ একটা প্র্যাকটিস। শুধু শুধু কাউকে কষ্ট দেয়া একটা অপরাধের সমান। এইসব আর করবেন না। প্লিজ, কারো কষ্ট কমাতে না পারলে কষ্ট বাড়ানোর কাজে ভূমিকা রাখবেন না। সবশেষ শবনম ফারিয়া উল্লেখ করেন, বিশ্বাস করেন, কেউ ইচ্ছে করে কারো সংসার ভাঙে না। যে যেই পেশাই থাকে সবাই স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে চায়। ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি মাহি ও রকিবের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল।