ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলের ২১ উপজেলার আড়াই হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানিকগঞ্জে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার জেলার শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মিলন মেলায় ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের (ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ) ২১টি উপজেলার দুই হাজার ৫’শত মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত হন।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে এ আয়োজন।
ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুল রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিলন মেলায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক পরিচিত সহযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অনেকের সঙ্গেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নানা স্মৃতি। কখনো ভাবিনি সকলে একত্রিত হতে পারব।’
মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে চলে যাই। যুদ্ধে মা-বাবা-ভাই-বোন কে হারিয়েছি। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে অনেক অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের যেই সম্মান দিয়েছে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকের এই আয়োজন আমাদের মনোবল বাড়িয়েছে।’
এসময় তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গড়ে উঠার আহ্বান জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র