চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের নিজের করা মামলায় নিজেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ হত্যায় দায়ের হওয়া আরেক মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার।
নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হলে রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ সময় বাবুল আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা নগরীর পাঁচলাইশ থানার মামলায় তাকেই গ্রেপ্তারের আবেদন আদালত শুনানি শেষে মঞ্জুর করেছেন। একই ঘটনায় মিতুর বাবার করা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। তিনি বলেন, একই ঘটনায় দুই মামলা আদালতে চলতে পারে না। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে বাবুলের নিজের মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল আক্তার এখন কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
বাবুল আক্তারের করা মামলায় স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। বাবুল আক্তার ছাড়াও ওই মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা (৪১), মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ