April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 3rd, 2021, 8:04 pm

মিতু হত্যা: পিবিআইর প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত, বাবুলের আবেদনও খারিজ

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার দায়ে প্রথম মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। একই সাথে বাদী বাবুল আক্তারের নারাজির আবেদনও খারিজ এবং মামলাটি ফের অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম বেগম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আমরা নারাজির আবেদন করি। ২৭ অক্টোবর মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে আবেদনটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে বুধবার (৩ নভেম্বর) আদেশের নির্ধারিত দিনে আদালত নারাজি আবেদন খারিজ করেন এবং পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন নাকচ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।’

জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে আবেদনটি করেন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তখন তিনি বলেছিলেন, আদালত ২৭ অক্টোবর বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।

নারাজি আবেদনে বলা হয়, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি এ মামলার বাদী ছিলেন। তাকে আসামি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী বলেন, ‘প্রথম মামলার কেস ডকেটে বেশ কয়েকজন সাক্ষীর কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি। কিন্তু আদৌ তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এবং তারা কি বলেছেন, তার কিছুই কেস ডকেটে নেই। ওই নথি তলবের জন্য ২৭ অক্টোবর আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটি খারিজ করেছেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো।’

আলোচিত মিতু হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়। প্রথম মামলার বাদী তার স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাদী বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। ওই মামলায় গত ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি। ওইদিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাবুল আক্তারকে। তিনি ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।

২০১৬ সালে ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ওই ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

–ইউএনবি