March 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 11th, 2022, 9:06 pm

মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, সংশ্লিষ্টদের নোটিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথর আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আনা হয়েছে দুই হাজার ৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)।

মিথ্যা ঘোষণায় আমদানির অভিযোগে এই ধুলা কাস্টমসের ছাড়পত্র পাচ্ছে না। এ কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে দুই হাজার ৭০০ টন ডাস্ট পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে জানান, এতে তাদের প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে।

১৩ নভেম্বর রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণ পাথর আমদানি করা হয়। এরপর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কয়েক দফায় মোট দুই হাজার ৭০০ টন আমদানি করে।

আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজের জন্য এই প্রতিষ্ঠান পাথর আমদানি করেছে।

আমদানি করা চূর্ণ পাথর প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ এই ডাস্ট বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায়। কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাধে যত বিপত্তি।

কাস্টমস প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানায়। পরে পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। এর ফলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনই মাশুল বাবদ বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান। এজন্য চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় কাস্টমসের পক্ষ থেকে।

তদন্ত শেষে ডাস্ট হিসেবে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।

কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও একই চিঠি দেয়া হয়েছে।

সিএন্ডএফ-এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল।

খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেয়া হবে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে এ ধরনের পাথরের অনুমতি নেই। পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

—ইউএনবি