অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের মাঝে মেহেদি মিরাজকে ঘিরে নাটকীয়তার প্রাথমিক পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটেছে গত রোববার। মেহেদি হাসান মিরাজ নেতৃত্ব হারিয়ে এবারের বিপিএল না খেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত রোববার বিকালে তিনি টিম হোটেল ছেড়ে গাড়িতে ওঠার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তাদের অনুরোধে আবারও ফিরে যান। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) তিনি চট্টগ্রামের হয়ে মাঠেও নেমেছেন। দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে প্রশ্ন, গত ৪৮ ঘণ্টার এই নাটক নিয়ে কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিসিবি? চট্টগ্রামের টিম হোটেলের সামনে সেই নাটকীয় মুহূর্তে মিরাজ প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের মালিকপক্ষ খুব ভালো। তারা কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নয়। তাদের নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। ইয়াসিরই (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সিওও ইয়াসির আলম) মূল কালপ্রিট। ইয়াসির দলে থাকলে আমি খেলব না। ‘ এ ছাড়া দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারেও মিরাজ অধিনাকত্ব হারানোর পেছনে ‘ফিক্সিং’ জাতীয় কিছু থাকার ইঙ্গিত দেন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। তিনি জানান, ‘সোমবারই ঘটনাটি শুনলাম। এটা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি, আমি ছিলাম, মল্লিক ভাইও ছিল। সবার সঙ্গে কথা বলার পরে আমরা যেটা দেখেছি- মিরাজেরও এখানে ভুল আছে, ম্যানেজমেন্টেরও ভুল আছে। দুই পক্ষই কিন্তু হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়। টুর্নামেন্ট চলাকালীন মিরাজের মতো জাতীয় এবং উঁচু মানের ক্রিকেটারের এই ভূমিকাটা রাখা ঠিক হয়নি। ‘ শেখ সোহেল আরও বলেন, ‘মিরাজের আরও অপেক্ষা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমরা বিসিবির কমিটি ছিলাম, সেখানে সে বলে অপেক্ষা করতে পারত। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও সমস্যা আছে, আমি তাদেরও ছাড় দেব না। তাদের শুনানি হবে কয়েকদিনের মধ্যে। দুই পক্ষকে সাথে নিয়েই আমরা শুনানি করবো। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও ধৈর্য্য ধরা উচিত ছিল। তারা দুই পক্ষই নিজেদের মাঝে আলোচনা করে একটা কিছু করতে পারত। এটা এত বড় পর্যায়ে যাওয়ার জিনিস ছিল না। ‘
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা