পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সকল ধরনের চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে।’
মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের দুটি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে এখন থেকে গুলি চালানো হবে। তাহলেই মানবপাচার, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ হবে। তবে এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।’
ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০ সালে বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। ১২ বছরে ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়নি। এটা সংশ্লিষ্টদের জন্য লজ্জার। এই ব্যর্থতার জন্য আমাদের জন্য দুঃখের, যারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন তাদের জন্যও দুঃখের। আর যারা এই কাজের দায়িত্বে (সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তারা) ছিলেন তাদের জন্য লজ্জার। লজ্জায় তাদের চাকরি ছেড়ে দেয়া উচিত।’
উন্নয়ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিতে এবং সিলেটে বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল ২০০ বেডে উন্নিত না করে শত কোটি টাকা ফেরত দেয়ায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে ২০০ বেডের বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। এজন্য ১১০ কোটি টাকাও বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু শামসুদ্দিন হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নিত করা হয়নি। ১শ’ শয্যা থেকে দুইশ’ শয্যায় উন্নিত করা হয়নি।’
তাছাড়া ২শ’ শয্যার হাসপাতাল না করে ১শ’ শয্যা সংস্কার করে বরাদ্দ থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কাজ না করে ফেরত দেয়া হয় ১শ’ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা সিলেটের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা নষ্ট করেছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘২শ’ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ডিজাইন রেডি ছিল, অর্থ বরাদ্দও ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি। কষ্ট করে টাকা আনার পর কাজ না হওয়া খুবই দুঃখজনক। এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর