চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার ছয়দিন পর আবুল কাশেম (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মার যান।
নিহত আবুল কাশেম স্থানীয় সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড়ের ৬ বারের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য।
এই ঘটনায় মীরসরাই থানায় মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলালকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরও ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ অভিযুক্ত বেলালের ছেলে ফাহাদ, নজরুল ও সিরাজুল ইসলাম নামে তিন জনকে আটক করেছে।
মৃত ইউপি সদস্যের স্ত্রী বিবি ফাতেমার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী আবুল কাশেমের সঙ্গে স্থানীয় শাহেরখালী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে কয়েকবার হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। আমাদের ধারণা বেলালের নির্দেশে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ‘কাশেম সাহেব গত নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষও ছিলেন না। তার সঙ্গে কোনকালে আমার কোন বিরোধ ছিল না। হয়তো বা আমার কোন বিরোধীপক্ষ কাশেম সাহেবের পরিবারকে ভুল বুঝাচ্ছে।’
এব্যাপারে মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. অলি উল্ল্যাহ জানান, হামলার ঘটনায় গত সোমবার মীরসরাই থানায় একটি মামলা হয়েছে। আবুল কাশেম মারা যাওয়ায় তা এখন হত্যা মামলা হবে। ইতোমধ্যে মামলায় অভিযুক্ত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার খালের কাদা মাটি থেকে আবুল কাশেমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর রাত ১০টার দিকে ছুরিকাহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করানো হয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি