রাজধানীর গুলশানে কলেজশিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১)-কে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এ মামলায় অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের জেনারেল রেকডিং অফিসার উপপরিদর্শক সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরে মোসারাতকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নতুন মামলা করা হয়। তাঁর বোন নুসরাত গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলাটি করেন।
মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর, তার বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা, হুইপপুত্র শারুনের সাবেক স্ত্রী সাইফা রহমান মিম, কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, পিয়াসার বান্ধবী ও ঘটনাস্থল গুলশানের ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী শারমিন ও তার স্বামী ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতেই তাঁর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। এই মামলায় গত বছরের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিবির দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত বছরের ১৮ আগস্ট গ্রহণ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আদালতের আদেশে মামলা থেকে অব্যাহতি পান একমাত্র আসামি সায়েম সোবহান।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম