মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে কাঠপট্টি লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পৌর কাউন্সিলের ছেলে সম্রাট ঝলক (২২) নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছে। বুধবার এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- তুষার দাস, সম্পদ মিয়া, সায়েম হোসেন অপূর্ব, লিটন মিয়া ও আবু বকর সিদ্দিক। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লিটন মিয়ার ছেলে এবং সরকারি হরগঙ্গা কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র সম্রাট ঝলক প্রতিপক্ষের ধরালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন দুটি বাড়িতে হামলা চালাতে গেলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব খান জানায়, বুধবার দুপুরে কাঠপট্টি লঞ্চঘাটের কাছে জিল্লুর গ্রুপ এবং লিটন কমিশনার গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে জিল্লুর গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাউন্সিলরের ছেলে ঝলককে আঘাত করলে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ঝলকের বাবা কমিশনার লিটন অভিযোগ করে বলেন, আমার সামনে ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেললো। আমি পাশে দাঁড়ানো।
তিনি বলেন, একটা দল ঘাটে নিয়মিত চাঁদা তুলছিল। লোকজনের টাকা পয়সা রেখে দিচ্ছিল। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে লোকজন আমার কাছে আসে। আজকে ঘাটে টাকা তোলার সময় আমি সেখানে যাই। আমার ছেলে আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি প্রতিবাদ করলে জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে আমি কিছু বোঝার আগেই আমার ছেলের পেটে ছুড়ি বসিয়ে পালিয়ে যায়।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি