জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা (মুরাদনগর) :
মুরাদনগরে টানা দু’বার প্রাকৃতিক দূর্যোগে ভারি বর্ষণের ফলে ৫শ’ বিঘা খিরা ক্ষেতে বাম্পার ফলন আর নেই। দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। তাদের জমিতে পানি থৈথৈ করছিল। তৃতীয়বার খিরা চারা রোপন করে নিজেদের ক্ষতি পুরনের চেষ্টা করছে চাষিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সম্প্রতি দু’বার ভারি বর্ষণের ফলে নষ্ট হয়ে যায় প্রায় ৫শ’ বিঘা জমির খিরা চারা। যা প্রতি বিগা জমিতে চারা রোপন করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। তৃতীয় বার চারা রোপন করে নিজেদের ক্ষতি পুরনের সচেষ্ট রয়েছে খিরা চাষিরা।
মুরাদনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর ধরে কাঁদা মাটিতে খিরা চাষ করে বেশ লাভবান স্থানীয় কৃষকরা। তাই প্রতি বছর বাড়ছে খিরা চাষের চাহিদা। এবছর প্রায় ৫শ’বিঘা জমিতে রোপন করা হয়েছিল খিরা চারা। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে খিরা চারাসহ জমিতে থাকা টমাটো, ফুলকপি, লাল শাক, পালং শাক, ছিম, ধনিয়াপাতা লাউ, মটরশুঁটি, পেঁয়াজ পাতাসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন দিশেহারা প্রায় সকল চাষিরা।
ব্লকের উপ- সহকারী কৃষি অফিসার কাজী ইসমাইল হোসেন জানায়, কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা করিমপুর, নয়াগাঁও, কাঠালিয়াকান্দা, ইউসুফনগর ও নেয়ামতপুর গ্রাম এলাকায় ৫শ’বিঘা জমিতে খিরা চারা ভারি বর্ষণের ফলে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিবিঘা জমিতে চারা রোপন করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কৃষকরার মুখের হাসি মেনে নিয়ে দ্বিতীয় বার চারা রোপনের পরেও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় খিরা চারা। তৃতীয় বার চারা রোপনের পর খিরা চারাগুলো একটু বড় হয়ে ফুল ফুটেছে।
খিরা চাষি নাতু মিয়া জানায়, চলতি মৌসুমে তিন বার খিরা চারা আবাদ করেছি। চারার অবস্থা দেখে মনে হয়েছে ফলনও এবার যথেষ্ট ভালো হবে। টানা দুইবার বর্ষণে খিরা চারা ক্ষেত ডুবে গিয়ে চারা মরে কাঁদা মাটিতে মিশে গিয়েছিল।তৃতীয় বার খিরা চারা আবাদ করেছে সফল ব্যাবসায়ী কৃষক জুরু মিয়া, ঝর্ণা বেগম, মাহমুদা বেগম, শাহ আলম ও ছাত্তার মিয়া।
মুরাদনগর উপজেলা কৃষি অফিসার পাভেল খান পাপ্পু জানায়, এবছর প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে খিরা চারা আবাদ করা হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণে প্রায় ৮০ ভাগ খিরা জমি চারা কাদাপানির নিচে চলে গিয়েছিল। বর্তমানে যে জমিগুলো কিছুটা ভালো আছে সেগুলো বাচাঁতে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে আমাদের উপ- সহকারী কৃষি অফিসার কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়প যাচ্ছেন। আগামী বছরে কিভাবে আরো বেশি ফলন উৎপাদন করা যায় সেই লক্ষে উপজেলা কৃষি অফিস জোড়ালো ভুমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি