অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বের প্রতিটি মানুষেরই স্বর্ণালংকারের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে তো আরও বেশি। এই স্বর্ণ বা সোনার সঙ্গে যে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের বিষয় জড়িয়ে আছে তা কি আমরা জানি?
সোনার গুণগত মান সঠিক না হলে দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য শরীরের উপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে শুরু করে। এমনকি কখনো মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে টাকা দিয়ে সোনার অলংকার কিনে কেউ কি মৃত্যু ডেকে আনবে!
বাজারে সচরাচর কেডিএম সোনা বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে সোনার গুণগত মান যাচাই করে সার্টিফাই করা সোনা অর্থাৎ হলমার্ক সোনা কেনা বা ব্যবহার করা ভালো। এই সোনা ব্যবহারে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যে কোনো ঝুঁকি থাকে না। কেডিএম সোনা হচ্ছে খাঁটি সোনাকে অলংকার উপযোগী করতে এর সঙ্গে ক্যাডমিয়াম নামক এক ধরনের ধাতু মেশানো হয়। সোনা এবং ক্যাডমিয়ামের অনুপাত থাকে ৯২:৮। এবার তাহলে কেডিএম সোনা ও হলমার্ক সোনার পার্থক্য জেনে নেয়া যাক।
খাঁটি সোনা খুব নরম হওয়ায় তা অলংকার তৈরির অনুপযুক্ত থাকে। তাই এর সঙ্গে অন্য ধাতু মিশিয়ে অলংকার তৈরির উপযুক্ত করা হয়। যাকে খাদ বলা হয়। এই খাদেই যত ঝামলো। মানগত কারণে সোনাকে কয়েকভাগে ভাগ করা হয়েছে- ২৪ ক্যারেট, ২৩ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট, ১৪ ক্যারেট এবং ১০ ক্যারেট। সোনায় ক্যাডমিয়াম মেশানোর ফলে সোনার মান বজায় থাকলেও এতে করে অলংকার তৈরির কারিগর এবং ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই সোনায় এই ক্যাডমিয়ামের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাডমিয়াম হচ্ছে ক্ষতিকারক ধাতু। এটি শরীরে দীর্ঘদিন প্রবেশ করতে থাকলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এতে করে শরীরে ক্যানসার এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও ফুসফুস এবং হাড় ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, কিডনি অকার্যকর হয়ে যায় এবং পুরুষত্বহীনতার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস ও ডয়চে ভেলে
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম