কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল ও তার স্ত্রী সন্তানসহ ৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ঘটনার পর ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, মেয়ে মাহমুদা ও ছেলে রায়সুল, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে, তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য ও ভগ্নিপতি বেলন দে এবং নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।
এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে ভৈরব কমলপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রলারের ধাক্কা লেগে ২০ জন ডুবে গেলে ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পরে রাত হওয়ায় উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন ডুবুরি সদস্য উদ্ধার অভিযান শুরু করার পর সকাল ১১টা পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ জনের সন্ধান মেলেনি।
পাশপাশি নিখোঁজদের উদ্ধারে ভৈরব থানা, নৌ থানা, হাইওয়ে থানা, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ঘটনাস্থলে রয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক